আবরার হত্যায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা অমিতের বাড়ি নেত্রকোণায়

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার সবুজবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।

গ্রেপ্তার অমিতের বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। জেলা শহরের আখড়া মোড় এলাকায় নিজস্ব বাসায় বসবাস করে তার পরিবার। তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের ঠাকুরাকোনা বাজারের স্বাস্থ্য ক্লিনিকের পাশে।

অমিত জেলা শহরের আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তারপর সে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়ে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক ছিল। সে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছিল।

তার বাবার নাম রঞ্জিত সাহা এবং মায়ের নাম দেবী রানী সাহা। তার বাবা একজন ধানের আড়তদার। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ব্যবসা করেন। অমিতের ছোট বোন ঐশ্বরিয়া সাহাও মেধাবী। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।

অমিতের বাবা-মা গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতের তীর্থে যান। এখনও তারা সেখানেই অবস্থান করছেন।

ঠাকুরাকোনা বাজারের ব্যবসায়ী মো. কামাল মিয়া জানান, অমিতের বাবা খুব ভালো ব্যবসায়ী। ছেলেমেয়েদের খুব কষ্ট করে মানুষ করছেন। এমন একটা খবরে খুব খারাপ লাগছে। তার বাবা-মায়ের কষ্ট বৃথা যাচ্ছে। এলাকাবাসী হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মা-বাবা এখন ভারতের তীর্থে আছেন।

ঠাকুরাকোনা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, অমিতের বাবা রঞ্জিত সাহা একজন ধানের আড়তদার। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ধানের ব্যবসা করেন। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। ছেলেটা খুব মেধাবী। রঞ্জিত সাহা আওয়ামী লীগ ঘরানার পরিবার। ছেলে অমিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা শুনেছি।

ফাহাদকে যে কক্ষে নিয়ে পেটানো হয় সেই ২০১১ কক্ষের বাসিন্দা অমিত সাহা। আবরার হত্যায় করা মামলার ১৯ জনের মধ্যে অমিতের নাম ছিলনা। ঘটনায় জড়িত থাকা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু অমিত সাহাও জড়িত ছিলেন বলে জানান।

আবরার হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা গ্রেপ্তার

জুনিয়রদের ওপর নির্মম অত্যাচার চালাতেন অমিত সাহা

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: