নেপালে মঙ্গলবারও (৯ সেপ্টেম্বর) অব্যাহত আছে বিক্ষোভ। তরুণদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় দু’দিনেই ঘটেছে বহু হতাহতের ঘটনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নয়াদিল্লি সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির (নেপাল) ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তার নাগরিকদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে,
গতকাল (সোমবার) থেকে আমরা নেপালের ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং অনেক তরুণের প্রাণহানির ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের প্রার্থনা নিহতদের পরিবারের সাথে আছে। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং প্রতিবেশী’ হিসেবে ভারত আশা করে, সংশ্লিষ্ট সবাই সংযম দেখাবে এবং শান্তিপূর্ণ উপায় ও সংলাপের মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধান করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, নেপাল কর্তৃপক্ষ কাঠমান্ডুসহ বেশ কয়েকটি শহরে কারফিউ জারি করেছে। নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের সতর্কতা অবলম্বন করার এবং নেপালি কর্তৃপক্ষের জারি করা পদক্ষেপ এবং নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
সোমবার থেকে, ওলি সরকারের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন। নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ডের বাড়িতেও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ লাউডস্পিকার ব্যবহার করে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানালেও বিক্ষোভকারীদের স্লোগান দিতে শোনা যায়, ‘সরকারে থাকা খুনিদের শাস্তি চাই। শিশু হত্যা বন্ধ করো’।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনের ভাঙা দেয়ালের বাইরে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থাকা নারায়ণ আচার্য নামে একজন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন,
আমরা এখানে প্রতিবাদ করতে এসেছি, কারণ আমাদের বন্ধুদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা এখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার দাবি জানাতে এসেছি। কেপি অলিকে তাড়িয়ে দেয়া উচিত।
দুর্গানা দাহাল নামে আরেক প্রতিবাদকারী বলেন, ‘আমাদের এত তরুণ ও ছাত্র হত্যার প্রতিবাদ করা উচিত, যাদের হিটলারের মতো কেপি ওলির সরকার সরাসরি মাথা লক্ষ্য করে গুলি করেছে। যতদিন এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন আমাদের মতো মানুষ কষ্ট পাবে।’
নেপালি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গগন থাপাও প্রধানমন্ত্রী ওলিকে বিক্ষোভের সময় ১৯ জনের মৃত্যুর নৈতিক দায় নিতে এবং তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইএ/টিকে