ভারতের দিল্লির সরকার বিয়ার পান করার আইনী বয়সসীমা ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ বছর করার পরিকল্পনা করছে। কর্মকর্তাদের মতে, এ পদক্ষেপে অবৈধ মদ বিক্রি কমবে এবং সরকারের রাজস্ব সুরক্ষিত থাকবে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দিল্লি সরকার বিয়ার পান করার বৈধ বয়স ২৫ থেকে কমিয়ে ২১ করার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে রাজধানীর আইনকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার পাশাপাশি অবৈধ মদ বিক্রি রোধের চেষ্টা করা হবে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে দিল্লির আবগারি নীতি পর্যালোচনার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ প্রস্তাব আলোচিত হয়েছে।
বর্তমানে দিল্লিতে বিয়ার পানের বৈধ বয়স ২৫ হলেও পার্শ্ববর্তী নয়ডা, গুরগাঁও, গাজিয়াবাদ ও ফারিদাবাদে এই বয়সসীমা ২১ বছর। কর্মকর্তাদের ধারণা, দিল্লিতে বয়সসীমা কমানো হলে অবৈধ বাজার থেকে মদ কেনাবেচা কমবে, যা প্রায়ই অনিরাপদ বা নকল মদ হয়ে থাকে। একইসঙ্গে সরকারের রাজস্বও সুরক্ষিত থাকবে।
এদিকে সরকার দিল্লিতে মদ বিক্রির কাঠামোতেও পরিবর্তনের কথা ভাবছে। প্রস্তাবিত মডেলে সরকারি দোকানের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও অংশ নিতে দেওয়া হতে পারে। বর্তমানে কেবল সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মদের দোকান চালায়।
এক কর্মকর্তা বলেন, “আইন ভেঙে বয়সসীমার বাইরে মদ খেলে দিল্লি আবগারি আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবার লক্ষ্য হলো বিক্রিতে আধুনিকায়ন আনা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।”
পিডব্লিউডি মন্ত্রী পারভেশ ভার্মার নেতৃত্বে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি ইতোমধ্যেই মদ শিল্পের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। প্যানেলটি এমন উপায় খুঁজছে, যাতে দেশি-বিদেশি প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের মদ সহজলভ্য হয়। বর্তমানে সংকট দেখা দিলে দিল্লির অনেক বাসিন্দাকে পার্শ্ববর্তী রাজ্যে যেতে হয়।
এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “নতুন কাঠামো নিশ্চিত করবে, যাতে নিকটবর্তী অঞ্চলের দামের কারণে দিল্লি রাজস্ব হারায় না।”
এছাড়া জনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় মদের দোকান সীমিত করার জন্য অঞ্চলভিত্তিক নীতিও বিবেচনায় আছে। এর বদলে শপিংমল ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সে দোকান চালু করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে দিল্লিতে চারটি সরকারি করপোরেশন মদের দোকান পরিচালনা করে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দেশি মদের বোতলপ্রতি ৫০ রুপি এবং বিদেশি মদের বোতলপ্রতি ১০০ রুপি নির্দিষ্ট মুনাফা পায়।
এমকে/এসএন