গুপ্তহত্যার শিকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, প্রভাবশালী মার্কিন ডানপন্থি রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্ককে মরণোত্তর প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পদক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনে ৯/১১হামলার স্মরণসভায় দেয়া বক্তব্যে এই ঘোষণা দেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন, চার্লি কার্ক তার প্রজন্মের লক্ষ লক্ষ যুবকের অনুপ্রেরণা ছিলেন। এ সময় চার্লির পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানান তিনি। বলেন, ‘আমাদের প্রার্থনা তার অসাধারণ স্ত্রী এরিকা এবং তার সুন্দর সন্তানদের জন্য; তারা অসাধারণ মানুষ।’ ট্রাম্প এরপর ঘোষণা করেন, তিনি চার্লি কার্ককে প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম প্রদান করবেন।
প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম যুক্তরাষ্ট্রে একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে দেয়া সর্বোচ্চ সম্মাননা। এদিকে চার্লির হত্যাকাণ্ডকে ৯/১১-এ নিহতদের সাথে তুলনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি বলেন, ‘চার্লি; আমরা তোমাকে ভালোবাসি।’
গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইউটা রাজ্যের ইউটা ভেলি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে চার্লি কার্ককে গুলি করে হত্যা করা হয়। কার্ক ট্রাম্পের একজন প্রভাবশালী মিত্র ছিলেন।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক বার্তায় চার্লি কার্ককে ‘ইসরাইলের বন্ধু’ অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘সত্য কথা বলা এবং স্বাধীনতা রক্ষার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
চার্লি কার্কের হত্যাকারীকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী। বৃহস্পতিবার হত্যার ঘটনায় জড়িত এক সন্দেহভাজনের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রাইফেলটি উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
ছবিতে দেখা যায়-ওই তরুণ মাথায় ক্যাপ, চোখে সানগ্লাস ও কালো লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক পরিধান করে আছেন। লোকটির বিষয়ে তথ্য প্রদানে সহযোগিতার জন্য এক লাখ মার্কিন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ২১ লাখের বেশি টাকা।
এবি/টিএ