জেনে নিন গ্রিন কফির উপকারিতা

গ্রিন কফি বলতে আনরোস্টেড (ভাজা নয় এমন) কফি বীজ থেকে তৈরি মৃদু ঘ্রাণ সমৃদ্ধ কফি বোঝায়। যেসব খাদ্যের মধ্যে এমন বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় থাকার দাবি রাখে তাদের মধ্যে গ্রিন কফি শ্রেষ্ঠ।

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত গ্রিন কফি পান করলে প্রাপ্ত বয়স্কদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার পরিবর্তন আসে। একইভাবে অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এই বিশেষ কফিতে থাকা ক্যাফেইন, গ্রিন কফির নির্যাস এবং অন্যান্য ওষধি উপাদান দীর্ঘ মেয়াদী ওজন বৃদ্ধি রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও গ্রিন কফির নির্যাস দেহের হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ ও গ্লুকোজের সহনশীলতা বৃদ্ধি করে।

এ বিষয়ে ভারতের মুম্বাইতে অবস্থিত হিরানান্দি হাসপাতালের চিকিৎসক তেজাল লাথিয়া বলেন, “গ্রিন কফির নির্যাস ক্লোরোজেনিক এসিডের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই ক্লোরোজেনিক এসিড ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এটি সত্যিই ওজন কমাতে কার্যকর, তাই চাইলে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন, তবে প্রতিদিন দুই কাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। এটি হয়ত ওজন কমাতে কার্যকর, তবে এর অন্য প্রভাবগুলো ভুলে গেলে চলবে না। এটি আপনার চেতনাকে উত্তেজিত করার মধ্য দিয়ে আপনাকে জাগিয়ে রাখবে। তাই জেগে থাকার প্রয়োজন না হলে সকাল অথবা দিনের বেলা ছাড়া গ্রিন কফি খাবেন না।”

অন্যদিকে, মুম্বাইয়ের ফোর্টিজ হাসপাতালের চিকিৎসক ড. প্রদীপ শাহ এ বিষয়টিকে আংশিক সত্যি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে এবং কিছু কেমিকেল আছে, যেগুলো স্থূলতার বিরুদ্ধে কার্যকর। এটি একইসঙ্গে রক্তের গ্লুকোজ কম করতেও সাহায্য করে।”

মুম্বাইয়ের গুরুগ্রামে অবস্থিত ফোর্টিজ মেমোরিয়াল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের চিফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট সন্ধ্যা পাণ্ডে বলেন, “গ্রিন কফি এক্সট্রাক্ট গ্রহণের কোনো নির্দিষ্ট ডোজ বা মাত্রা এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। আপনি সাধারণভাবে সকালে গ্রিন কফি পান করতে পারেন এবং এর সুবিধাগুলি পেতে পারেন।”

গ্রিন কফিতে থাকা ক্লোরোজিন এসিড একটি পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; এটি খাবার পরে রক্তপ্রবাহে গ্লুকোজের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ড. লাথিয়া আরও বলেন. “যেহেতু এটি একটি পলিফেনোল, তাই এটি রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।” সূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাড়ির বাইরে থেকে অনুমতি ছাড়াই ক্যাটরিনার ছবি ধারণে ক্ষোভে ফুঁসছে বলিউড Oct 31, 2025
img
শুরু হচ্ছে জাটকা শিকরে বিধিনিষেধ, মধ্যরাত থেকে কার্যকর Oct 31, 2025
img
নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ এখন আর নেই : মির্জা ফখরুল Oct 31, 2025
img
জীবিত হাসিনার চেয়ে মৃত হাসিনা বেশি শক্তিশালী : রনি Oct 31, 2025
img
ইউনিসেফ ভারতের রাষ্ট্রদূত হলেন কারিনা কাপুর খান Oct 31, 2025
img
বিএনপির উচিত ছিল আগেই সংস্কার কমিশন বয়কট করা : ডা. তাহের Oct 31, 2025
img
নভেম্বরে গণভোট দিয়েই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে : গোলাম পরওয়ার Oct 31, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টাকে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে: আসাদুজ্জামান রিপন Oct 31, 2025
img
জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে দিল্লির কড়া প্রতিক্রিয়া Oct 31, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশন বর্তমান সংকট তৈরি করেছে: মির্জা ফখরুল Oct 31, 2025
img
ছেলের পরিচালনা নিয়ে রসিকতা করে আলোচনায় শাহরুখ খান Oct 31, 2025
img
জুলাই সনদ নিয়ে দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে : জাহেদ উর রহমান Oct 31, 2025
img
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে শেষ লড়াইয়ে বাংলাদেশ, বাদ জাকের! Oct 31, 2025
img
বান্ধবীর কুস্তি দেখতে সরকারি বিমানে গিয়ে বিতর্কে এফবিআই প্রধান Oct 31, 2025
img
সংস্কার প্রস্তাব না মানা নতুন রাজনৈতিক সংকট তৈরির অপপ্রয়াস: ডা. তাহের Oct 31, 2025
img
এভারেস্টে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার Oct 31, 2025
img
হারিকেন মেলিসার তাণ্ডবে প্রানহানির সংখ্যা বেড়ে ৪৪ Oct 31, 2025
img
মায়ামিতে নতুন চুক্তির পর কত বেতন পাবেন মেসি Oct 31, 2025
img

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে

খোকন ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের অনুমতি Oct 31, 2025
img
নতুন আয়োজনে ফিরছে ‘বাহুবলী’, ভাঙতে পারে ‘পুষ্পা ২’-এর রেকর্ড Oct 31, 2025