ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মণিপুরে পৌঁছেছেন। ২০২৩ সালের মে মাসে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর উত্তর-পূর্ব রাজ্যে এটিই তার প্রথম সফর। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী ৭১,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
 
পাঁচটি রাজ্যে তিন দিনের সফরের অংশ হিসেবে মণিপুর সফর করছেন মোদি। ইম্ফল বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা এবং মুখ্য সচিব পুনীত কুমার গোয়েল। এরইমধ্যে মণিপুরের চুরাচাঁদপুরে জাতিগত সহিংসতার শিকারদের সাথে দেখা করেছেন মোদি।
সহিংসতার শিকারদের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরাও রয়েছেন যারা সহিংসতায় তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছিলেন। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শহরের শান্তি ময়দানে তার নির্ধারিত ভাষণের আগে ছোট বাচ্চাদের সাথে দেখা করছেন, যা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। প্রধানমন্ত্রী চুরাচাঁদপুরে ৭,৩০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
 
শনিবার সকালে মিজোরামের আইজল সফরের মাধ্যমে মোদি তার উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের তিন দিনের সফর শুরু করেন। যেখানে তিনি বৈরাবি-সাইরাং রেল লাইন উদ্বোধন করেন, যা প্রথমবারের মতো মিজোরামকে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মণিপুরের কিছু পাহাড়ি অঞ্চলে প্রভাবশালী উপত্যকা-প্রধান মেইতেই সম্প্রদায় এবং কুকি উপজাতিরা ২০২৩ সালের মে মাস থেকে ভূমি অধিকার এবং রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লড়াই করে আসছে। সহিংসতায় ২৬০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ৫০,০০০ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
 
‘সাধারণ’ শ্রেণীর মেইতিরা তফসিলি উপজাতি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হতে চান, অন্যদিকে কুকিরা, যারা প্রতিবেশী মিয়ানমারের চিন রাজ্য এবং মিজোরামের মানুষের সাথে জাতিগত সম্পর্ক ভাগ করে নেন, তারা মণিপুর থেকে পৃথক প্রশাসন চান কারণ তারা মেইতিদের সাথে বৈষম্য এবং সম্পদ ও ক্ষমতার অসম বন্টনের কথা উল্লেখ করেছেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত সহিংসতা চলেছে মণিপুরে।  
এসএস/টিএ