অ্যাকশন সিনেমার ভিড়ে রোমান্টিক গল্পের ‘সাইয়ারা’ দর্শক মন জয় করে নিয়েছে। মুক্তির পর বক্স অফিসে বাজিমাত করেছে নবাগত জুটি আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডার এই সিনেমা। প্রেক্ষাগৃহের পর সম্প্রতি এটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটিতে। যার কারণে আবারও আলোচনায় সিনেমাটি।
মুক্তির পর কেউ কেউ সিনেমাটিকে হৃত্বিক রোশন ও আমিশা পাটেলের ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ ছবির সঙ্গে তুলনা করেছেন। এবার এই তুলনা নিয়ে মুখ খুললেন আমিশা পাটেল।
‘সাইয়ারা’ হোক বা ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’— দুটিই প্রেমের কাহিনি। মোহিত সুরীর ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ আমিশা।
কিন্তু, তার অভিনীত ছবির সঙ্গে ‘সাইয়ারা’র তুলনা টানতে নারাজ অভিনেত্রী। তার ছবি কোনও দিক থেকেই ট্র্যাজিক ছিল না বলে দাবি আমিশার।
‘সাইয়ারা’ প্রসঙ্গে আমিশা পাটেল বলেন, “এবার বলিউডে বেশ কিছু নতুন মুখের প্রয়োজন। এমন মুখ, যারা দর্শককে ধরে রাখতে পারবেন, যাদের মানুষ ভালোবাসবেন।
এভাবেই ভালো অভিনেতা তৈরি হন। এটা জরুরি। সত্যি বলতে, ‘সাইয়ারা’ তেমনই একটি ছবি যেটাকে জেন জি দারুণভাবে গ্রহণ করেছে। তবে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ এমন একটি ছবি যা দেখলে এখনও ২৫ বছর আগের স্মৃতি মনে পড়ে যায়, যার গান শুনলে এখনও গায়ে কাঁটা দেয়। সাধারণ মানুষ এখনও ওই ছবির ‘হুক স্টেপ’-এ মজে।
অভিনেত্রীর কথায়, “‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ খুব আনন্দের ছবি। এতে মজা ছিল, গান ছিল, দ্বৈত চরিত্র— সব ছিল। একেবারে বাণিজ্যিক ঘরানার আদ্যোপান্ত রোমান্টিক কমেডি ঘরানার ছবি এটি। কোনো দিক থেকেই দুঃখের ছবি ছিল না। ফলে আপেলের সঙ্গে কমলালেবুর তুলনা করা যায় না। আমি খুশি এটা ভেবে যে, জেন জি অর্থাৎ এই প্রজন্ম একজোড়া নতুন মুখ পেল যাদের সঙ্গে ওরা একাত্মবোধ করতে পারছে, এমন একটা ছবি পেল যা ওরা আঁকড়ে থাকতে পারবে।”
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে মুক্তি পেয়েছিল রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’। এই সিনেমার মাধ্যমেই বলিউডে অভিষেক ঘটে হৃত্বিক ও আমিশার। সেই সময়, এই ছবি দেশজুড়ে ৭৩ কোটির বেশি আয় করেছিল। অন্যদিকে, প্রেক্ষাগৃহের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর ওটিটি-তে মুক্তি পেয়েছে ‘সাইয়ারা’।
এসএন