জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের আবেদন শুরু

অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের ষষ্ঠ পর্বের আয়োজনে স্টার্টআপদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করেছে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর। বিক্রয়যোগ্য কোন পণ্য বা সেবা রয়েছে এমন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘সীডস্টার’ এর সাথে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

২০ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করা যাবে জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামে। নিবন্ধন করতে হবে www.grameenphone.com/gpaccelerator ঠিকানায়। গ্রামীণফোন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম। এতে দেশী বিদেশী প্রশিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সাড়ে ৪ মাস মেয়াদী কারিকুলাম ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং প্রাথমিক মুলধন সংস্থান করে দেবার মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে ব্যবসা শুরু করবার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। বাছাইকৃত স্টার্টআপগুলোকে মালিকানাসত্ত্বা ছাড়াই মূলধন হিসেবে ৫০০০ মার্কিন ডলার প্রদান করা হবে।

এছাড়াও প্রতিটি স্টার্টআপকে ১১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার সমমানের আমাজন ওয়েব সার্ভিস ক্রেডিট সহায়তা, জিপি হাউজে কাজের সুবিধা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

সাড়ে ৪ মাস মেয়াদী অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামে নির্বাচিত উদ্যোক্তারা তাদের ধারণা সমূহকে ব্যবসা উপযোগী করে গড়ে তুলতে ও ব্যবসার পড়িসর বৃদ্ধিতে স্থানীয় ও বিদেশী প্রশিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে টার্ম শীট, ভ্যালুয়েশন, ফাইন্যান্সিয়াল মডেলিং, ব্র্যান্ডিং এর মতো বিষয়গুলোতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকেন।

এছাড়াও অ্যাকসেলেরেটর প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ পেয়ে থাকেন অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপসমুহ। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো টাকার হিসেবে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা সমমানের সহায়তা পেয়ে থাকে এই আয়োজনে।

বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে ইনভেস্টর নেটওয়ার্কিং আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হয় অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম। এতে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, অংশীদার এবং সম্ভাব্য ক্রেতাদের সামনে নিজেদের পণ্য সম্পর্কে উপস্থাপন করার সুযোগ পায় স্টার্টআপগুলো। অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণকরার পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ব্যবসা সমূহের ভ্যালুয়েশন পূর্বের ভ্যালুয়েশনের তুলনায় গড়ে ৪ গুণ হারে বৃদ্ধি পায়।

গ্রামীণফোনের হেড অব ডিজিটাল ডিভিশন সোলাইমান আলম বলেন, “বিগত ৩-৪ বছরে আইসিটি খাতে অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দ্রুত গতিতে গড়ে উঠছে একটি টেকসই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম। সরকারসহ বিভিন্ন শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ এবং প্রশিক্ষকগণ উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। স্টার্টআপসমূহকে পণ্য কিংবা সেবার বাজার তৈরিতে, প্রয়োজনীয় সংযোগ এবং সুযোগ তৈরি করে দেবার মতো আকর্ষণীয় সম্পদের সংস্থান করে দেয় জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম। যদি কারো কোন উদ্ভাবনী আইডিয়া থেকে থাকে, একটি উদ্যোক্তা দল থেকে থাকে এবং ব্যবসা করবার স্পৃহা থাকে, তবে অবশ্যই আবেদন করুন জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামে। জিপি অ্যাকসেলেরেটর আবেদন করা সকলে জানাই শুভকামনা”।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর ইতোমধ্যে পাঁচটি ব্যাচ গ্র্যাজুয়েট করেছে এবং মোট ২৬টি স্টার্টআপ অংশগ্রহণ করে এতে। পূর্বের ব্যাচগুলোতে থাকা সফল স্টার্টআপগুলোর মাঝে রয়েছে সেবা এক্সওয়াইজেড, সিমেড হেলথ, রেপটো, আমারটাকা, অল্টারইয়ুথ, পার্কিং কই সহ আরো অনেক স্টার্টআপ। জিপি অ্যাকসেলেরেটর স্টার্টআপগুলোকে এমন এক প্ল্যাটফর্মের সুযোগ তৈরি করে দেয় যা উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলে।

আগ্রহী স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রাম সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে এবং এর থেকে প্রাপ্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে নিয়মিত ভাবে বেশকিছু আউটরিচ সেশন আয়োজন করা হচ্ছে।

এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন এই ঠিকানায়-  https://www.facebook.com/gpaccelerator

 

টাইমস/এএইচ/এইচইউ

Share this news on: