আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে টিআইবি

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাতিল করে দেওয়ার পরেও পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বাড়তি দামে বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতি আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এ ধরনের কেনাকাটায় অতি আগ্রহের কারণ অনুসন্ধানও জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।

টিআইবি বলছে, সমালোচনার মুখে প্রথম দফায় গাড়ি কেনার প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর আবারও আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দামে গাড়ি কেনার অভিনব প্রস্তাব উত্থাপন বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলের মতোই একশ্রেণির আমলাদের পরবর্তী সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রীদের প্রতি অতি উৎসাহী তোষামোদি আচরণের ন্যক্কারজনক পুনরাবৃত্তি।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলে সংস্থাটি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এক শ্রেণির অতি উৎসাহী স্বার্থান্বেষী তোষণপ্রবণ আমলাদের প্রস্তাব অনুযায়ী গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। যা সুবিধাবাদী আমলাদের প্রভাববলয় প্রতিষ্ঠার যে চর্চাকে পতিত সরকারের আমলে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিব্রতকর ও আত্মঘাতী উদাহরণ।’

এ ধরনের সিদ্ধান্তকে অবিবেচনাপ্রসূত উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল করার দাবিও জানান তিনি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, `আইন অনুযায়ী একজন মন্ত্রী সরকারিভাবে সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন।

বিগত সময়ে মন্ত্রীরা এবং বর্তমানে উপদেষ্টারা গাড়ি ব্যবহার করছেন। হঠাৎ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইনবহির্ভূতভাবে ভবিষ্যতের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার কেনার জন্য উদ্গ্রীব কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। সরকারের এ জাতীয় আগ্রহের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।’

অন্তর্বর্তী সরকার গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিলেও তা পরবর্তী সরকারের মন্ত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য না-ও হতে পারে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের ব্যয় সংকোচনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের পরিপন্থী এ ক্রয়ের মাধ্যমে এমন স্ববিরোধী পথে সরকার কেন যাচ্ছে? এটি কি জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্র সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকারের স্ববিরোধী আচরণ বলে বিবেচিত হবে না? এর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে কে বা কারা নেবেন?’

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভারতের সাথে সম্পর্কের উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র, অভিযোগ চীনের Dec 26, 2025
img
ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানি ঠেকানোর নির্দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের Dec 26, 2025
img
হাসপাতালে অসুস্থ মায়ের সঙ্গে একান্তে সময় কাটালেন তারেক রহমান Dec 26, 2025
img
গ্রিস উপকূল থেকে ৫২ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার Dec 26, 2025
img
বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের দাপট, ব্যাডমিন্টনে অল বাংলাদেশ ফাইনাল Dec 26, 2025
img
সেন্টমার্টিনগামী জাহাজকে লাখ টাকা জরিমানা Dec 26, 2025
img
দম ধরে রাখুন, শান্ত থাকুন, সামনে ব্রিলিয়ান্ট কিছু আসছে: জামায়াত নেতা Dec 26, 2025
img
মেসিকে পেছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়লেন ইয়ামাল Dec 26, 2025
img
নাতনিকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত নানি, উচ্ছ্বসিত জাইমা রহমান Dec 26, 2025
img
বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার Dec 26, 2025
img
বিয়ের পাত্রী দেখে ফেরার সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেপ্তার Dec 26, 2025
img
শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা Dec 26, 2025
img
বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা Dec 26, 2025
img
কুষ্টিয়ায় বিএসএফের পুশইন চেষ্টায় বিজিবির বাঁধাতে ১৪ ভারতীয়কে ফেরত Dec 26, 2025
img
নোয়াখালীর প্রথম ম্যাচে নেই সৌম্য, সিলেট পর্বে অনিশ্চয়তা Dec 26, 2025
img

৩০০ ফিট মহাসড়কে

স্বেচ্ছাশ্রমে বর্জ্য অপসারণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি Dec 26, 2025
img
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আনন্দ মিছিল শেষে প্রাণ গেল বিএনপি নেতার Dec 26, 2025
img
অবসরের যাচ্ছেন বার্সেলোনার রাফিনিয়া আলকান্তারা Dec 26, 2025
img
বিপিএলের পর্দা উঠছে আজ, উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি মিরাজ-শান্ত Dec 26, 2025
img
ঝালকাঠিতে হাদী ইস্যুতে একই মঞ্চে জামায়াত-এনসিপি-বৈছায়াসহ সব ইসলামি দল Dec 26, 2025