অনুসন্ধান থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক আবুল হাশেমকে ওএসডি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় নানা অভিযোগে গত দেড় মাসে ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তথ্য জানান দুদক মুখপাত্র আকতারুল ইসলাম।
এদিকে ১২০ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা করেছে সংস্থাটি।
জানা যায়, দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার দাবি, পরে ৫ লাখে রফাদফার বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে আসেন এসআর ট্রেডার্সের মালিক শহিদুল ইসলাম সোহেল। এ ঘটনার খবরও প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। এরপরই নড়েচড়ে বসে দুদক।
এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের উপ-সহকারী পরিচালক আবুল হাশেমকে প্রধান কার্যলয়ে সংযুক্ত করা হয়। এ নিয়ে দেড় মাসে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ৭ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সংস্থাটি। দুদক মুখপাত্র আকতারুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতির সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে কর্মকর্তাদের ছাড় দেবে না কমিশন।
এদিকে, ১২০ কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। আর সাইফুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগী উৎপল ও আব্দুল আজিজ দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ইউটি/টিএ