ফিফা বিশ্বকাপের শেষ কয়েকটি আসরে খেলেছে ৩২টি করে দল। ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে ৪৮টি দল অংশ নেবে। পরবর্তী আসর অর্থাৎ ২০৩০ সালে ৬৪ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী ফিফা। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো ডমিঙ্গুয়েজ এবং দক্ষিণ আমেরিকার তিন ফুটবল ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
চলতি বছরের মার্চে উরুগুয়ের এক প্রতিনিধি প্রথমবারের মতো অনলাইনে ফিফার নির্বাহী কাউন্সিল সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের ফেডারেশন সভাপতি ছাড়াও প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো পেনা এবং উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট ইয়ামান্দু অরসি উপস্থিত ছিলেন। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সরাসরি ইনফান্তিনোর কাছে প্রস্তাব পেশ করল কনমেবল।
বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডমিঙ্গুয়েজ লিখেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে ঐতিহাসিক! ধন্যবাদ ইনফান্তিনো, আমাদের স্বপ্নের এই যাত্রায় একাত্ম হওয়ার জন্য। ফুটবল যখন সবার সঙ্গে ভাগাভাগি হয়, তখন উদযাপন সত্যিকার অর্থেই বৈশ্বিক হয়ে ওঠে।’
১৯৯৮ সালের পর প্রথমবার ২০২৬ বিশ্বকাপ ৩২ দলের পরিবর্তে ৪৮ দলে বাড়ছে। ২০৩০ সালের আসর হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্তৃত আয়োজন। যেখানে ছয়টি আয়োজক দেশ তিন মহাদেশে ছড়িয়ে থাকবে। আয়োজকরা হলো উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো।
৬৪ দলের টুর্নামেন্ট হলে কনমেবলের ১০ সদস্য দেশই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্বকাপে জায়গা পেতে পারে। এখন পর্যন্ত একমাত্র ভেনেজুয়েলা ছাড়া সব দেশ অন্তত একবার বিশ্বকাপে খেলেছে। আর্জেন্টাইন ফেডারেশনের সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া লিখেছেন, ‘ফিফা সম্মেলনে অংশ নেওয়া আমার জন্য সম্মানের। আমরা এই বৈঠক চেয়েছিলাম, যাতে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে পারে। আমরা এক পরিবার।’
ডমিঙ্গুয়েজের মতে, ‘এটি শতবর্ষী আসর। তাই একে সাধারণ বিশ্বকাপ হিসেবে দেখা যাবে না। আমাদের স্বপ্ন হলো- গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে আয়োজন করা।’ ৬৪ দলের টুর্নামেন্ট হলে মোট ম্যাচ দাঁড়াবে ১২৮- যা বর্তমান ৬৪ ম্যাচের দ্বিগুণ। সমালোচকরা মনে করেন, এতে খেলার মান কমবে এবং বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্ব কমে যাবে।
ইএ/টিএ