ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজট

রাজধানীর প্রবেশমুখ সাদ্দাম মার্কেট থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে যানজটে আটকা পড়ে হাজারো যাত্রী ও যানবাহন। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।

মঙ্গলবার রাত ৮টার পর থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, চিটাগাং রোড ও সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় যানজটের চাপ বাড়তে থাকে। সময় বাড়ার সাথে সাথে দীর্ঘ হয়েছে যানবাহনের সারি। সন্ধ্যা ৬টার পর মহাসড়কের দুই দিকেই শত শত ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ১০টার আগে রাজধানীতে ট্রাক প্রবেশ করতে পারে না। এই নিয়মের কারণে মহাসড়কের আশপাশে অসংখ্য ট্রাক অবস্থান নেয়। ট্রাকগুলো রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকায় মূল সড়কের স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয় এবং তীব্র যানজট তৈরি হয়।

তিনি বলেন, আমরা ডিএমপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। যানজট নিরসনে এবং সড়কে স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ত রুট হলেও এখানে প্রায়ই একই চিত্র দেখা যায়। কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগী বা জরুরি কাজে থাকা সাধারণ যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন। এতে শুধু ভোগান্তিই নয়, অনেকের কাজও ব্যাহত হয়।

স্থানীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা বলছেন, ট্রাকের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন একই ঘটনা ঘটে। রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে ট্রাক রাখার আলাদা জায়গা না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এর ফলেই যানজট হয়। তাদের দাবি, বিকল্প পার্কিং ব্যবস্থা করা হলে এ ধরনের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে।

ভুক্তভোগীরা মনে করেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট এখন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাক প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দ্রুত বিকল্প পার্কিং ব্যবস্থা ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান, বিএনপি নেতাকে শোকজ Nov 17, 2025
img
বিএনপি গণমানুষের দল : ইসরাফিল খসরু Nov 17, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা-বিজিবি মোতায়েন Nov 17, 2025
img
খরায় পানির সংকট, কৃত্রিম বৃষ্টির উদ্যোগ ইরানের Nov 17, 2025
img
ফের পর্দায় ফিরতে চলেছে ‘ব্ল্যাক প্যান্থার ৩’ Nov 17, 2025
img
ধানমন্ডি ৩২ এর সামনে ককটেল নিক্ষেপ Nov 17, 2025
img
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আল্লাহর সেনাবাহিনী : সেনাপ্রধান Nov 17, 2025
img
এক মাসে ২৮২ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে নেতানিয়াহুর দেশ Nov 17, 2025
img
আলকারাসকে হারিয়ে ফের এটিপি ফাইনালের শিরোপা জিতলেন সিনার Nov 17, 2025
img
ক্যারিবীয় সাগরে পৌঁছাল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী Nov 17, 2025
img
জেনে নিন আজ দেশে কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ Nov 17, 2025
img
ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে Nov 17, 2025
img
গণতন্ত্রের লড়াইয়ে মওলানা ভাসানী পথপ্রদর্শক : তারেক রহমান Nov 17, 2025
img

ড. আহসান এইচ মনসুর

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি Nov 17, 2025
img
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৫ জনের Nov 17, 2025
img
আজারবাইজানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দাপুটে জয় ফ্রান্সের Nov 17, 2025
img
দাপুটে জয়ে ভারতকে উড়িয়ে সেমিতে পাকিস্তান Nov 17, 2025
img
পিপলস চয়েজ ভোটে ১ মিলিয়ন ভোট ছাড়িয়ে মিথিলা Nov 17, 2025
img
আজ মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী Nov 17, 2025
img
কেইনের জোড়া গোল, আলবেনিয়াকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের আটে ৮ Nov 17, 2025