বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। বাম পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি বাসায় বিশ্রামে আছেন বলে জানা গেছে।
আঘাত গুরুতর না হলেও সর্বনিম্ন ৩ সপ্তাহ বা সর্বোচ্চ ৬ পর্যন্ত তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দ্রুত আরোগ্য কামনায় দলীয় নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। সেখান থেকে বিকেলে ঢাকায় ফিরে রাজধানীর শান্তিনগরে চেম্বারে (পপুলার কনসালটেশন সেন্টার) যাওয়ার সময় রোড ডিভাইডার পার হচ্ছিলেন।
এমন সময় চোখের পলকে এক যুবকের পায়ের ওপর তার বাম পায়ের চাপ পড়ে। ওই যুবক পা টান দিলে ব্যাথা পান ডা. রফিকুল ইসলাম। পরে তিনি এমআরআই ও পায়ের এক্স-রে করালে লিগামেন্ট ফাইবারের সমস্যা ধরা পড়ে।
পরে জাতীয় অর্থপোডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের (নিটোর) এর অধ্যাপক ডা. ওয়াকিল আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অথপোডিক হাসপাতালের একদল চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ডা. আশরাফ, ডা. শেখ ফরহাদ, বিএমইউ’র অর্থপোডিক বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মো. আনোয়ার উল্লাহ ও ডা. সেতু প্রমুখ।
বিভিন্ন রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন আপাতত কমপক্ষে ৩ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে।
ডা. রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের বিভাগের (ইউরোলজি) অধীনে বেশকিছু রোগী বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) ভর্তি রয়েছেন। যাদের অনেকের অপারেশন হওয়ার কথা।’ কিন্তু তিনি নিজেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বিশ্রামে থাকায় রোগীদের দুর্ভোগের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং নিজের সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।
এবি/টিকে