জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, সংসার চালাতে পারত না আগে তারা টেলিভিশনের মালিক হয়ে গেল। তিনি বলেন, ‘টেলিভিশন চালাতে গেলে নিয়ম আছে কিন্তু। আপনি টেলিভিশন চালাবেন আপনার প্রোপার্টি দেখাতে হবে, আপনার ব্যবসা দেখাতে হবে, আপনার ইনকাম ট্যাক্স দেখাতে হবে। এগুলো তারা কিভাবে দেখাল?’ গতকাল বুধবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওতে তিনি একথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের নিয়মে দুইটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যারা অনুমোদন পেয়েছেন তাদের দুইজনের নামই আরিফুর রহমান। তাদের একমাত্র পরিচয় তারা জাতীয় নাগরিক পার্টি অথবা আগে যে নাগরিক কমিটি ছিল তাদের সঙ্গে রিলেটেড।’
তিনি বলেন, ‘গণ অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর আজকে (বুধবার) বলেছেন এদেরকে তো আমি চিনি। এরা একসময় আমার সঙ্গে আন্দোলন করত, আমার সঙ্গে সংগঠন করত। এদের তো ঢাকা শহরে সংসার চালানোর অবস্থা নেই। এদের একজন একটা ইংরেজি পত্রিকায় চাকরি করত, আরেকজন একটা পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করি। কোন পত্রিকার বেতন স্কেল কত এটা আমি খুব ভালোভাবে জানি। একটা বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার কত হাজার টাকা বেতন পান এটাও আমি জানি। ১০-১২ হাজার টাকার বেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার বেতন পান না।’
মাসুদ কামাল বলেন, ‘সংসার চালাইতে পারত না আগে, তারা টিভির মালিক হয়ে গেল। টেলিভিশন চালাতে গেলে নিয়ম আছে কিন্তু। আপনি টেলিভিশন চালাবেন আপনার প্রোপার্টি দেখাতে হবে, আপনার ব্যবসা দেখাতে হবে, আপনার ইনকাম ট্যাক্স দেখাতে হবে। এগুলো কিভাবে দেখাল?’
মাসুদ কামাল আরো বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন মাহফুজ আলম। কিছুদিন আগে সিজিএসের একটা প্রোগ্রামে বড় বড় কথা বলেছেন। সেখানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আলম মুখের ওপর না করে দিয়েছিলেন যে, আমরা টেলিভিশন দিচ্ছি না। তার এক সপ্তাহের মধ্যে দুইটা টেলিভিশনের পারমিশন হয়ে গেল! মাহফুজ আলম এখন কী বলবেন?’
সেফ এক্সিটের প্রসঙ্গে মাসুদ কামাল বলেন, ‘অনুমতি পেল আপনাদের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এটাকে স্বজনপ্রীতি বলা হয়। এটা কি অন্যায় না? আগামীতে যদি কোনো গণতান্ত্রিক সরকার আসে, তারা কি এই স্বজনপ্রীতির জন্য এদের বিচারের মুখোমুখি করবেন না? করবেন তো। এবং এ জন্যই তারা সেফ এক্সিট খুঁজছেন।’
এসএস/এসএন