শুল্কের দর কষাকষির মধ্যেও গত প্রান্তিকে মার্কিন বাজারে তৈরি পোশাকের রফতানি আয় বেড়েছে ৮.৬ শতাংশ। রফতানির উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেয়া দেশভিত্তিক রফতানি পরিসংখ্যানে, প্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধির হিসাবে কানাডার পরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন শুল্কচাপের মধ্যেই বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের রফতানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক-গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্র রফতানি হয়েছে ২০১ কোটি ডলারের পোশাক। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ৮.৬ শতাংশ।
বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। ৩.৬৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত প্রান্তিকে ইইউতে গেছে ৪৭৫ কোটি ডলারের পোশাক।
এসময়ে বাংলাদেশি পণ্যের তৃতীয় শীর্ষ গন্তব্য যুক্তরাজ্যের বাজারে রফতানি হয়েছে ১২২ কোটি ডলারের পোশাক, এক বছর আগের তুলনায় বেড়েছে ৬.৭৪ শতাংশ। সেপ্টম্বর পর্যন্ত গত তিন মাসে কানাডা থেকে পোশাক শিল্পের রফতানি আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৩.৬৩ শতাংশ।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। তবে সেটি তিন মাসের জন্য স্থগিত রেখেছিলেন ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর গত ৭ জুলাই সিদ্ধান্ত বদলে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা গত ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক কমানোয় ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশকে গড় ১৫ শতাংশ ও নতুন পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ, অর্থাৎ মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হচ্ছে।
এবি/এসএন