বায়োমেট্রিক সম্পন্ন না করলে মালদ্বীপ প্রবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে

আগামী এক মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন না করলে মালদ্বীপ প্রবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে যে, আগামী এক মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন না করা ২৭ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ইমিগ্রেশন আইনের আওতায় দেশত্যাগের মুখোমুখি হতে হবে।

এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে না চাইলে আগের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবাসীদের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফরমেশন টেকনোলজি (এনসিআইটি) ভবনে অবস্থিত জব সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করতে হবে।

মালদ্বীপের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যৌক্তিক কারণ ছাড়া অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন না করা প্রবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছরের মে মাসে ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’ উদ্যোগের মাধ্যমে মালদ্বীপে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। দেশটির রাষ্ট্রপতি ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু গত ২৪ সেপ্টেম্বর জানান, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮২ জন প্রবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, ইমিগ্রেশন ও স্থানীয় পুলিশ অনিয়মিত অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও অপসারণে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ক্ষমতার প্রথম তিন বছরের মধ্যে অবৈধ অভিবাসন সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিশের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, যারা অবৈধভাবে মালদ্বীপে প্রবেশ করবে বা কাজ করবে, তাদের প্রতি কোনো ধরনের সহনশীলতা দেখানো হবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মো. সোহেল পারভেজ বলেন, ‘মালদ্বীপে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন এখন বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন না করলে প্রবাসীরা ইমিগ্রেশন আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন দ্রুততম সময়ে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেন, যাতে কোনো ধরনের জটিলতায় পড়তে না হয়।’

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মেক্সিকোতে ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ গেল ৬৪ জনের, নিখোঁজ ৬৫ Oct 13, 2025
img
বাংলাদেশের মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ প্রায় ৮০ ডলার Oct 13, 2025
img
মাঠেই হার্ট অ্যাটাক, বোলিং করার সময় প্রাণ হারালেন ভারতীয় ক্রিকেটার Oct 13, 2025
img
শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় সরগরম চবি ক্যাম্পাস Oct 13, 2025
img
হু হু করে বাড়ল সোনার দাম, ভরি প্রতি ২১৩৭১৯ টাকা! Oct 13, 2025
img
দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার আজ বিপন্ন : মোহাম্মদ শাহজাহান Oct 13, 2025
img
গাজা যুদ্ধবিরতি সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ Oct 13, 2025
img
দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট Oct 13, 2025
img
অনুশীলন শেষে ইয়ামালকে নিয়ে গেলেন নিকি Oct 13, 2025
img
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন স্পষ্ট : স্থানীয় সরকার সচিব Oct 13, 2025
img
ক্রয়-বিক্রয় চুক্তির আওতায় আমদানিতে ছাড় দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক Oct 13, 2025
img
আপনি চাকরিপ্রার্থী নন চাকরি সৃষ্টিকারী, তরুণদের উদ্দেশ্যে ড. ইউনূস Oct 13, 2025
রাজনীতিবিদ ও আমলাদের ধুয়ে দিলেন ওসমান হাদী! Oct 13, 2025
ট্রাম্পের হুমকিতে ভয় পায় না চীন! Oct 13, 2025
এনটিআরসিএ ভবনে উত্তেজনা! শিক্ষকদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ Oct 13, 2025
জনগণের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে বড় উদ্যোগ নিয়েছেন তারেক রহমান: নয়ন Oct 13, 2025
উপদেষ্টাকে ট্রেনের গতি পরীক্ষার আহ্বান জানালেন মিলন Oct 13, 2025
img
পডকাস্টে তামান্নাকে নিয়ে অশোভনীয় মন্তব্য, বিতর্কে আন্নু কাপুর Oct 13, 2025
img
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সুইডেন ও নরওয়ের ৯ তরুণ রাজনীতিবিদ Oct 13, 2025
img
মানুষ ধীরে ধীরে বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে : সারজিস Oct 13, 2025