স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেছেন, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন একটি ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমানে বলা হয়ে থাকে- পরিবর্তনই হলো একমাত্র ধ্রুব বিষয়।
তিনি বলেন, নেতৃত্ব, প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এখন অত্যন্ত জরুরি। তরুণরা দেশকে নিয়ে কী ভাবছে, কীভাবে তারা পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে এগিয়ে নিতে চায় সেই ভাবনাগুলো প্রকাশের সুযোগ করে দিতেই আমরা দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতেই এই আয়োজন, যা ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের জন্য উপকারী হবে।
আজকের প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা যেভাবে তাদের ধারণা উপস্থাপন করেছে, তা আমাদের সময়ের তুলনায় অনেক উন্নত।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতা ২০২৫’-এর বাকৃবি পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম 'আইডিআরওএফ'। ফার্স্ট রানার আপ হয়েছে টিম 'ডেল্টা ২১০০' এবং সেকেন্ড রানার আপ হয়েছে টিম 'বিএইউ-নোভা'। বিজয়ীদের হাতে মেডেল, সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
‘যুব উৎসব ২০২৫’-এর অংশ হিসেবে এবং ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম বার্ষিকী’ উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এতে তরুণ শিক্ষার্থীরা নীতিনির্ধারণ, উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিষয়ক চিন্তাভাবনা ও প্রস্তাবিত নীতিপত্র উপস্থাপন করেন। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্ধারিত বিষয়বস্তু ছিল- কৃষি, নদী ও উন্নয়নের গতিপথ: বঙ্গীয় বদ্বীপের পুনরাবিষ্কার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এবং ফিশারিজ বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার।
সমাপনী পর্বে নির্বাচিত পাঁচটি দল তাদের নীতিপত্র উপস্থাপন করে, যার মধ্যে তিনটি দলকে সেরা হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। এর আগে প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি অংশগ্রহণকারী দলের মধ্য থেকে ৯টি দল বাছাই করা হয়। পরবর্তী ধাপে ওই ৯টি দলের মধ্যে থেকে ৫টি দল সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ২২টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। তরুণদের এই প্রচেষ্টাকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের আরও উৎসাহিত করতে চাই। আমি সবসময় চেষ্টা করি যাতে তারা সুযোগ পায় এবং বৈশ্বিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এমকে/এসএন