রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান অন্তর্বর্তীকারীন সরকার প্রসঙ্গে বলেছেন, আমি মনে করি নির্বাচনটা মোটা দাগে এই সরকারকে দিয়ে হওয়া উচিত, মাইনাস দুই ছাত্র উপদেষ্টা। দুই ছাত্র উপদেষ্টা থাকা কোনোভাবেই উচিত না। কারণ ইটস আ ভেরি পপুলার পারসেপশন। এটা আমরা অক্টিভিস্টরা বলছি তা না, ডক্টর ইফতেখারুজ্জামানের মতো সিভিল সোসাইটির খুবই প্রমিনেন্ট মানুষও ক্লিয়ারলি বলছেন।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কিছু উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহেদ উর রহমান বলেন, এতোটা রেডিক্যাল সরকার হলে বিপদ আছে বলে আমি মনে করি। মানে এখন একটা টিটেড সরকার পাচ্ছেন, পরের সরকারটা একটা দলের সরকার হয়তো। এই সরকারের নানা রকম অদক্ষতা আছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বায়াসও আছে, এটাও ভুল না।
একজন উপদেষ্টার সঙ্গে তো বিএনপির এলাইনমেন্টের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তার পিতা যেহেতু বিএনপির একটা ছোটখাট হলেও একটা পদে গিয়েছেন। উত্তরে জাহেদ উর রহমান বলেন, আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, পিতা পদে যেতে পারেন।
কিন্তু যে দুইজনের কথা বলা হচ্ছে, সেই দুইজন আল্টিমেটলি তাদের ব্যাপারে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে। যেমন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নিজের কনস্টিটিয়েন্সিতে ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। উনি আবার হাসনাত আব্দুল্লাহর কনস্টিসিতে ওই উপজেলায় ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বাংলাদেশে ছয়টা জেলা আছে যেখানে ১৩ থেকে ১৭ কোটি টাকা, জেলাতে বরাদ্দ হয়েছে। উনি ওখানে দিচ্ছেন কেন?
তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদেরকে আবারও অনুরোধ করি, আমি এটা বহু জায়গায় বলেছি আপনারা যদি খোঁজ করেন, এনসিপির পটেনশিয়াল যত ক্যান্ডিডেট আছে প্রত্যেকের উপজেলায় এলজিআরডির যে বরাদ্দ আছে সেটার ক্ষেত্রে আপনারা বিরাট বরাদ্দ পাবেন। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। আমি না জেনেই বলছি আপনারা একটা ইনভেস্টিগেট করলে পেয়ে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, এখন মির্জা ফখরুল বা জামায়াতে ইসলামী বা এনসিপি যা বলছে, আমি এগুলোকে এক ধরনের রেটারিক্যাল বক্তব্য মনে করি। কারণ সামনে যেহেতু নির্বাচন আছে তারা সরকারকে চাপে রাখতে চাইবেন।
পলিটিক্যাল রেটরিকে খুব ওভার এস্টিমেট করারও দরকার নাই। কারণ হলো, তারা চাইবেন সরকারকে চাপে রাখা যাতে সরকার অ্যালার্ট থাকে। কোনো না কোনো ক্ষেত্রে এটা যাতে ঘটে। আর বিশেষ করে ডক্টর ইউনুসের এনসিপির প্রতি বায়াস আছে। এটা তো ভুল না। তিনি যখন মন খারাপ করে রিজাইন করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন তিনি নাহিদকে ডেকে সেটা বলেন। এসব ঘটনা তো আছেই। সেই কারণে আমার মনে হয় চাপে তারা রাখবেন এবং আবারও বলছি ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সরকারেরই সামান্য কিছু এদিক সেদিক করে নির্বাচনটা করা উচিত।
কেএন/টিকে