রেলের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে বিকেলে বসছেন টিএলআররা

বকেয়া ও নিয়মিত মাসিক বেতন পরিশোধের দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী (টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট–টিএলআর) শ্রমিকরা রেলভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। তবে কিছু সময় সেখানে অবস্থানের পর বিকেল ৩টায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের আশ্বাসে কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ কথা জানান রেলওয়ের টিএলআর ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. শাওন।

এর আগে তারা দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রেলওয়ের ঢাকা, চট্টগ্রাম, পাকশী ও লালমনিরহাট বিভাগের শত শত টিএলআর শ্রমিক বর্তমানে গেটকিপার, সোর্টার, খালাসী, ওয়েম্যান, রেস্টহাউস বেয়ারা, পয়েন্টসম্যান ও অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

দীর্ঘদিন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলেও গত তিন মাস তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে। বেতন না পেয়ে শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে একবেলা খেয়ে দুই বেলা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। পরিবার নিয়ে দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।

গত ১ আগস্ট ও ৫ অক্টোবর তারিখে দুই দফায় রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু আশ্বাসের পরও এখনো বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়নি। শ্রমিকদের অভিযোগ, বিভাগীয় কর্মকর্তারা ‘বাজেট অনুমোদন হয়নি’ এমন অজুহাত দেখিয়ে বেতন দিতে ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করছেন।

রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে দেওয়া এক চিঠিতে শ্রমিকরা সতর্ক করে বলেছেন, ২০ অক্টোবরের মধ্যে তিন মাসের বকেয়া ও নিয়মিত বেতন প্রদানের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না নিলে আমরা ২১ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করব। এর ফলে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে এর দায়ভার আমাদের নয়, বরং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে। তারাই অংশ হিসেবে আজ এই কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা।

একইসঙ্গে তারা ৪টি দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হচ্ছে- তিন মাসের বকেয়া বেতন এবং ‘২৫ এর নীতিমালা’ অনুসারে দৈনিক ভিত্তিতে ৩০ দিনের হিসেবে বেতন পরিশোধ করতে হবে; প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে নিয়মিত বেতন দিতে হবে; সব অস্থায়ী শ্রমিকের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রথা নিশ্চিত করতে হবে এবং কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে।

টিজে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় ভারত : প্রণয় ভার্মা Dec 06, 2025
দনবাস নিয়ে কাড়াকাড়ি, যেকোনো মূল্যে দখলের হুঁশিয়ারি পুতিনের Dec 06, 2025
রিজিক বৃদ্ধির সহজ উপায় | ইসলামিক টিপস Dec 06, 2025
img
মোদিকে খোঁচা দিতেই মামলা খেলেন ভোজপুরি গায়িকা Dec 06, 2025
img
শচীন ও কোহলিদের রেকর্ডে ভাগ বসালেন রোহিত শর্মা Dec 06, 2025
img
বাবরি মসজিদ নির্মাণের বাজেট ৩০০ কোটি, এক ব্যক্তিই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা Dec 06, 2025
img
জয়সওয়ালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত Dec 06, 2025
img
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় শামসুর রহমানের Dec 06, 2025
img
মওদুদীবাদী দলকে ভোট না দিলে জাহান্নামের ভয় দেখাচ্ছে : মির্জা আব্বাস Dec 06, 2025
img
আগামী নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে : সাইফুল হক Dec 06, 2025
img
মিয়ানমারে বিমান হামলায় প্রাণ গেল ১৮ জনের, আহত আরও অন্তত ২০ Dec 06, 2025
img
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এখনও অর্জিত হয়নি: কাতারের প্রধানমন্ত্রী Dec 06, 2025
img
সরে দাঁড়ালেন রাশা থাডানি পরিচালক লিজোর বলিউড ছবি থেকে Dec 06, 2025
img
বিশ্বকাপে ট্রাম্পের দিকে তাকিয়ে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতি Dec 06, 2025
img
রোববার থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার Dec 06, 2025
img
খালেদা জিয়ার জন্য মঙ্গলবার ঢাকায় আসার অনুমতি চেয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স Dec 06, 2025
img
জাহ্নবীকে সমর্থন করে আলোচনায় প্রিয়াঙ্কা Dec 06, 2025
img
সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনিবার ছুটি ঘোষণা করব : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী Dec 06, 2025
img
রণবীর সিং অভিনীত ‘ধুরন্ধর’কে নিয়ে বক্স অফিসে বিতর্কের ঝড় Dec 06, 2025
img
অন্যায় করেছি, প্লিজ ক্ষমা করে দিও: রিয়া গাঙ্গুলী Dec 06, 2025