জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেনের হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ঘটনার তিন দিন পরে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সব আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারোটায় এ মামলা দায়ের করে জুবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত। মামলায় আসামিরা হলেন– মাহীর রহমান, বার্জিস শাবনাম বর্ষার, ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। এছাড়া আরও অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশন করতেন। প্রতিদিনের মত তিনি ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বংশাল থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডস্থ নুর বক্স লেনের ১৫নং হোল্ডিং রৌশান ভিলায় বর্ষাকে পড়ানোর জন্য যান। একই দিনে সন্ধ্যা প্রায় ৫টা ৪৮ মিনিটের সময় ছাত্রী বর্ষা জোবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে জানায়– ‘জোবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছে, কে বা কারা জোবায়েদ স্যারকে খুন করে ফেলছে।’
ঘটনার বিষয়টি ১৯ অক্টোবর রাত ৭টায় জবি শিক্ষার্থী মো. কামরুল হাসান মামলার বাদী জোবায়েদের ভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান। তার ভাই সৈতক ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
সৈকত সেখানে গিয়ে তার পরিচিত বড় ভাই এ্যাড. ইশতিয়াক হোসাইন জিপুকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলার নিচতলা থেকে উপরে উঠার সময় সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। ওই ভবনের ৩য় তলার রুমের পূর্ব পাশের সিঁড়িতে নিয়ে গেলে সিঁড়ির উপর জোবায়েদের মরদেহ দেখতে পান।
মামলার বাদি এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, আমাদের পরিবারের সব সদস্যদের সাঙ্গে পরামর্শ করেই আমি মামলা করেছি। গতকাল আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় মামলা করতে একদিন দেরি হয়। মামলায় যারা প্রকৃত আসামি, আমরা তাদের নাম উল্লেখ করেই মামলা করেছি। আমরা চাই কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন ফেসে না যায়, যারা প্রকৃত অপরাধী তারাই শাস্তি পাক।
এ বিষয়ে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার সব আসামিদের ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। যেহেতু মামলা হয়েছে, এখন তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজই তাদের আদালতে তোলা হবে।
এবি/টিকে