এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন প্রয়োজন : নাহিদ ইসলাম

এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশনের বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে মনে হচ্ছে যে এটা নিরপেক্ষ হচ্ছে না।

বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশনের বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে মনে হচ্ছে যে এটা নিরপেক্ষ হচ্ছে না। এটা স্বচ্ছ হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা ছিল সেটা করছে না। কিছু কিছু দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখা যাচ্ছে এবং কোনো কোনো দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ তারা করছে।

তিনি বলেন, বিগত সময়গুলোতে নির্বাচন কমিশন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেইখানে কিভাবে তাদের পক্ষপাতিত্ব ফুটে উঠেছে সেই বিষয়ে আমরা বলেছি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন নির্বাচন যদি না হয় তাহলে একটা সরকার কিভাবে আসবে? ফলে আমরা সরকারকে সেই বিষয়টি অবহিত করেছি। এবং আমরা মনে করি যে, নির্বাচন কমিশন এই মুহূর্তে পুনর্গঠন হওয়া প্রয়োজন। ঐতিহাসিক জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়েও সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নটা কীভাবে হবে সেটা সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই আমরা স্বাক্ষর করব।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জুলাই সনদ নিয়ে কথা বলেছি। যেহেতু জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি সেখানে অংশ নেয়নি। ফলে আমরা আমাদের অবস্থান সরকারের কাছেও তুলে ধরেছি। ঐকমত্য কমিশনের কাছেও আমরা তুলে ধরেছি। আমরা সে কথাগুলোই পুনর্ব্যক্ত করেছি, জুলাই সনদের শুধু কাগজের মূল্যে আমরা বিশ্বাসী নই। এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটা সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই আমরা স্বাক্ষর করব।

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
নভেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে একগুচ্ছ বিগ বাজেট ছবি! Oct 22, 2025
img
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কা‌ছে আইএলও'র নবনিযুক্ত প্রতি‌নি‌ধির পরিচয়পত্র পেশ Oct 22, 2025
img
বিশ্বে মূল্যায়ন হয় কাজে, নোবেল নয় : মাসুদ কামাল Oct 22, 2025
img
৪ উইকেট হারিয়ে ২৩ রানের লিড নিয়ে ৩য় দিন শেষ করলো পাকিস্তান Oct 22, 2025
img
বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস যে তিন বিভাগে Oct 22, 2025
img
প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন নিয়ে সরকারের ১২ নির্দেশনা, প্রজ্ঞাপন জারি Oct 22, 2025
img
শুধু আ. লীগ অফিসের সেটআপটা নষ্ট করেছি, দখল করিনি: এনসিপি নেতা Oct 22, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে পুনরায় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সভা Oct 22, 2025
img
রাষ্ট্রপতি নয়, প্রধান উপদেষ্টা থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ চায় জামায়াত Oct 22, 2025
img
বাস-ট্রাক টার্মিনালের ইজারা মূল্য পুনর্নির্ধারণের নির্দেশ ডিএসসিসির Oct 22, 2025
img
জাতীয় দলের কোচ হতে পারেন আশরাফুল! Oct 22, 2025
img
মতভেদ কাটাতে ড. ইউনূসের এবার নতুন উদ্যোগ : জিল্লুর রহমান Oct 22, 2025
img
বেসরকারি কর্মীদের বেতন কাঠামো নিয়ে প্রস্তাবনা যাচ্ছে জাতীয় কমিশনে Oct 22, 2025
img
তোপের মুখে ক্ষমা চাইলেন চাকসুর সেই নেতা Oct 22, 2025
img
ট্রাম্পের উপস্থিত অবস্থায় হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা গেটে গাড়ির ধাক্কা Oct 22, 2025
img
আ. লীগ নেতা অ্যাডভোকেট তুহিন গ্রেপ্তার Oct 22, 2025
img
স্কুইড গেম অভিনেতার নাম ভাঙিয়ে অনলাইনে প্রতারণা Oct 22, 2025
img
শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে সম্মত বাংলাদেশ! Oct 22, 2025
img
চাকরি হারালেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ মাহদী Oct 22, 2025
img
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনোভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি: রাশেদ খাঁন Oct 22, 2025