কমলার খোসাও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ

বিশ্বব্যাপী একটি জনপ্রিয় ফল কমলা এবং শীতের সময় এর সমাদর বেড়ে যায়। কোয়াযুক্ত এই ফলটির রয়েছে নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা আর পুষ্টিগুণের জন্য ব্যাপক পরিচিতি। সাধারণত এর খোসা আমরা ফেলে দিতেই অভ্যস্ত। তবে, কমলার খোসাতে রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর উপাদান।

কমলার খোসাতে কোন কোন উপাদান থাকে?
কমলা ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি সুস্বাদু ফল। এর খোসাতেও ভিটামিন-সি, ফাইবার ও পলিফেনলের মতো বেশ কয়েকটি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান বলে ধারণা করা হয়। এটি হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং পাচনতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে ভালো কাজ করতে পারে। পলিফেনল স্থূলতা, আলঝেইমার রোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিসসহ দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা রোধ ও নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর। এছাড়াও কমলার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬, ক্যালসিয়াম, প্রোভিটামিন-এ ও ফোলেট রয়েছে।

কীভাবে খাওয়া যেতে পারে?
আমরা অবশ্যই কমলার খোসা খেয়ে অভ্যস্ত নই। যেহেতু এটি আমাদের কাছে একেবারেই নতুন, তাই শরীরকে এই নতুন জিনিসটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় দিতে হবে। আপনি চাইলে কমলার খোসা কামড়ে খেতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে অল্প অল্প করে খেতে হবে। অন্যথায় হজম জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সব থেকে ভালো উপায় হলো সালাদ বা স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া। আপনি পাতলা খোসাগুলিকে একটি ছুরি দিয়ে কুচিকুচি করে কেটে সেগুলি সালাদ বা স্মুদিতে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও দই, মাফলিন ও কেক বানানোর সময় কমলার খোসার ছোট ছোট কুচি যোগ করা যেতে পারে। তবে, প্রথমে ফলটিকে অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

সাবধানতা
কমলার খোসা ব্যবহারের আগে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি। খোসা যেহেতু বাইরের আচ্ছাদন তাই তাতে কীটনাশকের কিছুটা অবশিষ্টাংশ থাকতে পারে। সুতরাং ফলটিকে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

এছাড়াও এর জটিল গঠন ও উচ্চ ফাইবারের কারণে কমলার খোসা গিলে ফেলা কঠিন এবং হজম করাও বেশ শক্ত মনে হতে পারে। এটি গ্রহণের সময় যদি কেউ সাবধানতা অবলম্বন না করেন তবে তার পেটের অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। সুতরাং অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এটি ব্যবহার করুন। যারা ইতিমধ্যে এটি খেয়েছেন তাদের মতে এর স্বাদ অপ্রীতিকর, কিছুটা তেতো।

আপনার খাদ্যাভ্যাসে একে যুক্ত করার আগে অবশ্যই ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করুন। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: