বিচারকের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের ভাষ্য

রাজশাহীতে নিজ বাসায় খুন হওয়া বিচারকের ছেলের গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই পুলিশের ধারণা, তাওসিফ রহমানকে (সুমন) শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পরে। এ ছাড়া সুমনের এক পায়ের আঙুল কাটা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ভাড়া বাসায় তার ছেলে সুমন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। সে রাজশাহী গভ. ল্যাবরেট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিচারকের ছেলেকে সম্ভবত শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্ন রয়েছে। তার হাঁটুর নিচে পায়ের আঙুলে কাটা রয়েছে।

এর আগে, হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হন বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার (৪৪)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত লিমন মিয়াকে (৩৫) আটক করে পুলিশ। তিনি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের মদনেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া আহত হওয়া দুজনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলাকারী লিমনের হাতে, মাথায় ও পায়ে জখম রয়েছে। আর তাসমিন নাহারের পেটে এবং ঊরুতে আঘাত রয়েছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, লিমন একটি ব্যাগ নিয়ে বাসায় ঢুকে ডাইনিং টেবিলে বসে তাসমিন নাহারের সঙ্গে গল্প করছিলেন। একপর্যায়ে লিমন উত্তেজিত হয়ে তার ব্যাগ থেকে ছুরি বের করলে তাসমিন নাহার দৌড় দিয়ে একটি কক্ষে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেন। এ সময় লিমন ১০ থেকে ১৫টি লাথি দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে থাকা সুমনের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। সুমন উঠে এলে বাসার কাজের মেয়ে তাকে বিষয়টি বলেন। ছেলে ওই ঘরে গিয়ে লিমনকে আটকানোর চেষ্টা করে। তারপরে তাকে ওড়না জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। এর মধ্যে কাজের মেয়ে দৌড়ে বাইরে এসে অন্য ফ্ল্যাটের লোকজনকে খবর দেন।

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহারের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। রাত ৯টার দিকে জানা যায়, হামলাকারীর জ্ঞান ফিরেছে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আর হত্যার বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

আইকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আরশাদ ওয়ার্সিকে দেখে মারিয়ার মা-বাবা আর কী বলেছিলেন? Dec 29, 2025
img
মঙ্গলবার একদিনের জন্য চট্টগ্রাম যাচ্ছেন আইজিপি Dec 29, 2025
img
অস্ত্রোপচারের পর কেমন আছেন সাজিদ, জানালেন ফারাহ Dec 29, 2025
img
ঢাকার বুকে ফিরে এলো হারিয়ে যাওয়া 'কনাই নদী' Dec 29, 2025
img
হাসনাত আব্দুল্লাহর জন্য আসন ছেড়ে কাঁদলেন জামায়াতের প্রার্থী Dec 29, 2025
img
রাতে ঢাকায় শীতের প্রকোপ বাড়বে Dec 29, 2025
img
‘তুমি শেখাবে আমাকে’? একটি কথায় বদলে গেল রাজেশ-ডিম্পলের সম্পর্কের সমীকরণ Dec 29, 2025
img
সিলেট-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও ছেলে Dec 29, 2025
img
ইমাদ ওয়াসিম ও সানিয়ার বিচ্ছেদের কারণ 'তৃতীয় পক্ষ'? Dec 29, 2025
img
কোটিপতি জামায়াত আমির, আছে নগদ ৬০ লাখ টাকা-ডুপ্লেক্স বাড়ি Dec 29, 2025
দক্ষিণ আমেরিকা সফরে মায়ামি- পেরু, কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে ম্যাচ Dec 29, 2025
অডিশন ভিডিওতেই আলোচনায় কৃতি Dec 29, 2025
ঝলমলে পোশাকেই যত আলোচনা Dec 29, 2025
img
সিলেটের খুঁটি থেকে গাছের মগডালে ঝুলছে 'অদ্ভুত পোস্টার বয়'! Dec 29, 2025
img
জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সাঈদীর দুই ছেলে Dec 29, 2025
৯০ হাজার ভক্ত নিয়ে গান প্রকাশের পর অভিনয় ছাড়ার কারণ জানালেন বিজয় Dec 29, 2025
এবারের বাণিজ্য মেলায় নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার! Dec 29, 2025
নরওয়ে-সুইডেন-ফিনল্যান্ডে তুষারঝড় জোহান্নেসের তাণ্ডব, ৩ প্রাণহানি Dec 29, 2025
img
প্রয়াত জাকির বদলি কোচ নিয়োগ ঢাকা ক্যাপিটালসের Dec 29, 2025
img
৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে এনসিপি Dec 29, 2025