ভারতের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক বাংলাদেশ দলকে দেখেছেন সাবেক আধিনায়ক আমিনুল হক। লাল-সবুজদের এমন আমূল পরিবর্তনের পেছেনে হামজা চৌধুরীর অবদান দেখছেন তিনি। দেশের ফুটবলের এই গণজোয়ার থেমে না যায় সেজন্য বাফুফেকে নিয়মিত ফিফা প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক সাফজয়ী গোলরক্ষক।
ভারতের বিপক্ষে ফুটবলে বাংলাদেশের জয়টা ছিল অধরা। সবশেষ ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ব্লু টাইগারদের হারিয়েছিল লাল-সবুজরা। এরপর অপেক্ষা করতে হয়েছে ২২ বছর। লম্বা এই সময়টাতে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেললেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
অবশেষে ভারতের বিপক্ষে জয় না পাওয়ার গেরো খুললো হামজা-শমিত-মোরসালিনরা। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ঘরের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেলো লাল-সবুজরা। আর এ ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক বাংলাদেশ দলকে দেখেছেন ২০০৩ সালে ভারতকে হারানো দলের সদস্য ও সবেক অধিনায়ক আমিনুক হক।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখন খেলেছি, হয়তো পুরো ম্যাচ (ভালো) খেলেছি। কিন্তু গোল করার সক্ষমতা না থাকায় জিতে ফিরতে পারতাম না। বাংলাদেশ ফুটবল দলকে এখন নতুন করে আবিষ্কার করেছি। দীর্ঘদিন পর ভারতকে নিজেদের মাটিতে হারানোর ভালো লাগাটাই আসলে অন্যরকম।’
বাংলাদেশ দলের এমন পরিবর্তনকে পেছনে হামজা চৌধুরীর অবদান দেখছেন সাফজয়ী গোলরক্ষক আমিনুল হক। আর আক্রমণ ভাগে মোরসালিন ও রাকিবের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে তাকে।
আমিনুল বলেন, ‘হামজার যে আগমণ, এটি বাংলাদেশকে আরও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি। গোলপোস্টের সামনে এসে গোলপিকিংয়ের দায়িত্বও পালন করছে। কিছু সময় দেখছি ডিফেন্সকে সাহায্য করছে, কিছু সময় মিডফিল্ডে থেকে স্ট্রাইকিং জোনে গিয়ে স্ট্রাইকারদের সহযোগিতা করছে। মাঠের যেখানেই ফুটবল থাকে সেখানেই হামজা চৌধুরীকে দেখা যায়।’
২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত আর কোনো আন্তর্জাতিক খেলা নেই বাংলাদেশ ফুটবল দলের। এ সময়টাতে ফুটবলের জোয়ার যেন থেমে না যায় সে জন্য নিয়মিত প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করার জন্য বাফুফে আহ্বান জানান আমিনুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমি বাফুফের কাছে আহ্বান করব, আপনারা ঘরোয়াভাবে হোক বা আন্তর্জাতিকভাবে হোক, কিছু প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মধ্যে যদি আন্তর্জাতিক ম্যাচের চর্চটা রাখতে পারি, সেটা আমাদের জন্য একটি ভালো দিক বয়ে আনবে।’
দেশের ফুটবল উন্মাদনা ধরে রাখতে ঘরোয়া ফুটবল ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলকে আরও উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন আমিনুল হক।
এমআর