২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ-ভারত নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠক। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পাঁচটি দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলন। কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের ৭ম অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি সফর করছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার যাওয়ার কথা থাকলেও একদিন আগেই দিল্লিতে পৌঁছান তিনি। গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে।
দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, সিএসসি'র কাজ এবং দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার। অজিত দোভালকে ‘সুবিধাজনক সময়ে’ ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন খলিলুর রহমান। তবে, দ্বিপক্ষীয় কোন কোন বিষয়ে তাদের আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি বাংলাদেশ হাইকমিশন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকের মতে, ঢাকা-দিল্লির চলমান সম্পর্ক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে গুরুত্ব দিচ্ছে দুই দেশ।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. সফিউল্লাহ বলেন, ‘দুই দেশের যে পরিস্থিতি সেখানে যদি এই ধরনের আলাপ আলোচনা হয় এটা ভালোই হবে মনে করি।
ফলাফল যাই হোক না কেন বাংলাদেশ তার উদ্বেগের কথা ভারতকে জানাবে, ভারতেরও যদি কোনো বক্তব্য থাকে সেটা বাংলাদেশকে জানাবে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলমান থাকা ভালো।’
এছাড়া, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের অংশগ্রহণে এ বছরের সপ্তম কলম্বো নিরাপত্তা সম্মেলনকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইকে/এসএন