গাজীপুরে বাণিজ্য-কুটিরশিল্প মেলায় হামলা-ভাঙচুর, আহত ২০

সিগারেটের বাড়তি মূল্য দিতে অস্বীকার করায় ক্রেতাকে মারধরের জেরে গাজীপুর মহানগরীর শিমুলতলীতে বাণিজ্য ও কুটিরশিল্প মেলায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয়রা। এসময় হুড়োহুড়িতে মেলার অন্তত ২০ জন দর্শনার্থী আহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে মহানগরের শিমুলতলীতে আর্মি ফার্মা মাঠে অনুষ্ঠিত মেলায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মেলার ভেতরে সিগারেটের দোকানে প্রতিপিস সিগারেটের বিক্রয়মূল্য নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে মেলার এক দোকানের সিগারেট ক্রেতা বাড়তি মূল্য দিতে অস্বীকার করায় দোকানদার ও মেলা কর্তৃপক্ষের লোক বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই ক্রেতাকে মারধর করে আহত করে। এ তথ্য মেলার বাইরে স্থানীয়দেরে মাঝে ছড়িয়ে পরলে উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে মেলায় হামলা চালায়। তারা মেলার দোকান, লাটারির প্যান্ডেল, মেলার অফিসসহ সব স্থাপনা ভেঙে দেয়। ভাঙচুরের সময় মেলার দর্শনার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা হুড়োহুড়ি করে মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এসময় অন্তত ২০ জন আহত হন।

স্থানীয় চক্ষু হাসপাতল এলাকার বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী কিশোর সুমন ও তানজিল জানায়, মূলত সিগারেটের দাম বেশি নেওয়াকে কেন্দ্র করে এক ক্রেতাকে মারধর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে এ হামলা চালায়। হামলার সময় মেলার লোকজন পালিয়ে গেছেন। হামলাকারিরা ভাঙচুর করে এলাকা ছেড়ে যায়।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে মেলা কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব হয়। একপর্যায়ে মেলায় হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া প্রায় দু’মাস ব্যাপী চলমান এই মেলা নিয়ে শুরু থেকেই স্থানীয়দের আপত্তি ছিল। সেই আপত্তি উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন যাবৎ এই মেলা চলমান ছিল। এতে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ Nov 23, 2025
img
ত্রিদেশীয় সিরিজে মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল Nov 23, 2025
img
তাইজুলের মাইলফলকে উচ্ছ্বসিত সাকিব আল হাসান, শুভকামনায় ৪০০ উইকেট Nov 23, 2025
img
সশরীরে নয়, গুমের মামলায় ভার্চুয়ালি হাজিরা দিতে চান সেনা কর্মকর্তারা Nov 23, 2025
img

মন্ত্রী স্টিভেন সিম

‘শ্রমিক শোষণের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি’ Nov 23, 2025
img
দেবের সঙ্গে রোম্যান্স হবে, ভাবতেও পারিনি: জ্যোতির্ময়ী Nov 23, 2025
img
অডিয়েন্সকে দেখলে অন্য কোনো চিন্তা আর মাথায় থাকে না: জোজো Nov 23, 2025
img
পরবর্তী ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে রিয়াল মাদ্রিদ, বিশ্বাস আলোনসোর Nov 23, 2025
img
ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো রেলভাড়া না বাড়ানোর ঘোষণা Nov 23, 2025
img

প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগ ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় Nov 23, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির পর এবার ভেনেজুয়েলায় ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক Nov 23, 2025
img
ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপে অভিযান শুরুর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের Nov 23, 2025
img
ভোট গণনা ও ফলাফল পর্যন্ত মাঠে থাকবে যুবদল: মোনায়েম মুন্না Nov 23, 2025
img
লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট বলে কিছু নেই: রণজয় বিষ্ণু Nov 23, 2025
img
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে-বসবে: শাহজাহান চৌধুরী Nov 23, 2025
img
'আমাকে তো ফেলে রেখে চলে যায়, এইবার মেয়ে সামলে নেবে!' Nov 23, 2025
img
দর্শকের হাসিমুখই আমার আসল অ্যাওয়ার্ড: আমির খান Nov 23, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি Nov 23, 2025
img
পাওনা টাকা আদায়ে কৃষকের গরু নিয়ে গেলেন জামায়াত নেতা Nov 23, 2025
img
গাজীপুরে বাণিজ্য-কুটিরশিল্প মেলায় হামলা-ভাঙচুর, আহত ২০ Nov 23, 2025