ঢাকা ফুটবলের অঙ্গনে আজ এক অস্বস্তিকর নীরবতার জন্ম দিয়েছিল একটি অনুপস্থিতি। নারী ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন—কিন্তু নেই নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল, এটি কি কোনো অন্তর্কোন্দলের ইঙ্গিত? নাকি নতুন কোনো বিরোধ? দিনের আলোচনাই ঘুরপাক খাচ্ছিল এই অনুপস্থিতিকে ঘিরে।
শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্পষ্ট করলেন বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল। কোনো জটিলতা বা বিবাদের সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে বরং নিজের কাঁধেই নিলেন পুরো দায়—বলেন, এটি শুধু একটি ‘ইন্টারনাল মিস কমিউনিকেশন’। এবং কিরণকে সময়মতো জানানো না হওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইলেন তিনি।
আজ বাফুফে ঘোষণা দিয়েছে নারী এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী মাসে আজারবাইজান ও মালয়েশিয়াকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা ও পৃষ্ঠপোষকের নাম। মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তাই প্রস্তুতি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে।
তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘মিস কমিউনিকেশনের কারণে কিরণ আপাকে জানানো হয়নি। ফলে উনি সময়মতো আসতে পারেননি। সভাপতি হিসেবে এই ভুলের দায় আমার। পরেরবার অবশ্যই আপনারা ওনাকে দেখবেন।’
ফিফা উইন্ডোর বাইরেও দলকে শক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মাঠে নামানোর চেষ্টা চলছে বলেও নিশ্চিত করেন সভাপতি। লক্ষ্য—এশিয়ার বড় মঞ্চে ভালো কিছু করা। তাঁর ভাষায়, ‘যত বেশি মানসম্মত ম্যাচ খেলা যাবে, তত বেশি উপকৃত হবে আমাদের দল। তাই যাওয়ার আগে আরও তিনটি রুদ্ধদ্বার প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করছি।’
এদিকে গত বছরের সাফ শিরোপার পুরস্কার হিসেবে নারী ফুটবলারদের দেড় কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি—এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই তাবিথ দিলেন নির্দিষ্ট সময়সীমা, ‘৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা প্রতিশ্রুত টাকা প্রদান করব—এ বিষয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।’
সংক্ষেপে, অনুপস্থিতির ব্যাখ্যা যেমন মিলেছে, তেমনি নারী ফুটবলের আসন্ন বড় চ্যালেঞ্জগুলো ঘিরে বাফুফের প্রস্তুতিও মিলেছে নতুন গতি।
ইএ/টিএ