কখন বুঝবেন দাঁতের রুট ক্যানাল প্রয়োজন?

আপনি অবশ্যই স্বীকার করবেন যে, দাঁত ব্যথার মতো যন্ত্রণা আর কিছুতে নেই। দাঁত ব্যথা হলে আমাদের পক্ষে কিছু খাওয়া বা পান করাও কঠিন হয়ে ওঠে।

কিন্তু, আপনি কীভাবে বুঝবেন যে ব্যথা অনুভব করছেন তা গুরুতর এবং ‘রুট ক্যানাল’ নামক ডেন্টাল প্রক্রিয়াটি গ্রহণ প্রয়োজন কি না?

আসুন প্রথমে রুট ক্যানাল সম্পর্কে জেনে নিই-
আগেই বলা হয়েছে, রুট ক্যানেল একটি ডেন্টাল বা দন্ত সংক্রান্ত প্রক্রিয়া। যাদের দন্ত মজ্জা, স্নায়ু, রক্তনালী ও টিস্যুতে ক্ষয় রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের এটি প্রয়োজন হয়ে থাকে। এটি চোয়ালের হাড় হতে সম্প্রসারিত নরম কোরের ওপর করা হয়।

উক্ত অঞ্চলে যখন ক্ষয় শুরু হয় তখন মজ্জা প্রদাহজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ও সংক্রামিত হতে পারে বা মরে যেতে পারে। এই অবস্থায় একে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার প্রয়োজন হয়। এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার প্রক্রিয়াটিকে রুট ক্যানাল পদ্ধতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

ব্যাকটেরিয়ার ধরণের ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলি পরিবর্তিত হতে পারে, তবে কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে-

অবিরাম ব্যথা
দাঁত ও চোয়ালে তীব্র ব্যথা অনুভব করবেন, যা আপনাকে সর্বদা অস্বস্তিতে রাখবে। ব্যথা সময় সময় আসতে এবং যেতে পারে, বা ক্রমাগত আপনাকে বিরক্ত করতে পারে। আপনি যদি এই ধরণের ব্যথা অনুভব করেন তবে দাঁতের পরীক্ষা করানো ভালো। তবে কখনো কখনো এই ব্যথা মাড়ির রোগ বা গহ্বরের কারণে হতে পারে।

দাঁতের সংবেদনশীলতা
আক্রান্ত দাঁত গরম ও ঠাণ্ডা খাবার এবং পানীয়ের প্রতি সংবেদনশীলতা অনুভব করে। এসবের সংস্পর্শে একটি তীব্র ব্যথা শুরু হতে পারে, যা দীর্ঘকাল ধরে স্থায়ী হতে পারে। মজ্জা উন্মোচিত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটে থাকে।

স্পর্শকালে ব্যথা
আপনি যদি আক্রান্ত দাঁত স্পর্শ করেন এবং তীব্র ব্যথা অনুভব করেন, তবে সময় থাকতে সচেতন হয়ে যান। চিকিৎসকের সঙ্গে এখুনি কথা বলুন।

দাঁত আলগা মনে হওয়া
আপনি যদি মনে করেন যে দাঁতটি আলগা হয়ে আছে, তবে এটি হয়তো রুট ক্যানালের প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করছে।

অনেকেই মনে করেন যে, রুট ক্যানাল করলে খুব ব্যথা লাগে। তবে আদতে রুট ক্যানাল পদ্ধতিটি খুব একটা বেদনাদায়ক নয়। বরং ইতিমধ্যে আপনি দাঁতে যে ব্যথা অনুভব করছেন এটি তা উপশম করতে সহায়তা করবে। আধুনিক প্রযুক্তি এবং দাঁত বিশেষজ্ঞের দক্ষতার বদৌলতে আপনি এই প্রক্রিয়াটিতে তেমন কিছুই অনুভব করবেন না। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইরানের তেল বাণিজ্য ও হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র Jul 04, 2025
img
রণবীরের ‘রামায়ণ’ ঝলকে মুগ্ধ নেটদুনিয়া, ট্রোলের মুখে ‘আদিপুরুষ’-এর প্রভাস Jul 04, 2025
img
সকালের মধ্যে দেশের ৬ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 04, 2025
img
বলিউড ও হলিউডের ছোঁয়ায় রণবীরের ‘রামায়ণ’ হয়ে উঠছে মহাকাব্যিক! Jul 04, 2025
img
ব্যাটিং বিপর্যয়ে বিসিবি সভাপতির হতাশা, দায় দেখছেন মানসিকতায় Jul 04, 2025
img
ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত, ট্রাম্পকে বললেন পুতিন Jul 04, 2025
img
মূল লক্ষ্য থেকে পিছু হটবে না মস্কো, ট্রাম্পকে বললেন পুতিন Jul 04, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ: গোলাম পরওয়ার Jul 04, 2025
img
ঋতুপর্ণা হলেন বাংলাদেশের মেসি, বললেন বাফুফে কর্মকর্তা Jul 04, 2025
img
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে : গভর্নর Jul 04, 2025
img
ইতিহাসে প্রথমবার, ৩৫টি ভাষায় সরাসরি অনুবাদ হবে মক্কায় জুমার খুতবা Jul 04, 2025
img
ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর Jul 04, 2025
img
মাল্টা ও লিবিয়া উপকূলে অভিযান, উদ্ধার ১১৭ অভিবাসী Jul 04, 2025
img
বনানীর জাকারিয়া হোটেল হামলা: অভিযুক্তরা শনাক্ত, গ্রেফতারে চলছে পুলিশের অভিযান Jul 04, 2025
img
পিআর চায় অযোগ্যরা, ব্যালট চায় জনগণ : আমিনুল হক Jul 04, 2025
img
ভালুকের আক্রমণে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের Jul 04, 2025
img
বিয়ের আগের দিন ক্যাম্পাসে এসে আটক জবি ছাত্রলীগ নেতা Jul 04, 2025
img
রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ‘সাকিব ও মাশরাফির মতো আমারও ভুল হয়েছে’ Jul 04, 2025
img
দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজগুলো বাদ দেওয়ার আহ্বান ক্লাসেনের Jul 03, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষায় নকল করায় একই কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার Jul 03, 2025