বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকল ম্যানচেস্টার সিটি। আক্রমণ বেশি করল তারা, গোলের জন্য শটও বেশি নিল কিন্তু আসল কাজ করতে পারল না। দুই অর্ধের দুই চমৎকার ফিনিশিংয়ে সেই কাজ সারল বায়ার লেভারকুজেন। লড়াকু ফুটবল উপহার দিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে তারা ফিরল তিন পয়েন্ট নিয়ে।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে ২-০ গোলে হেরেছে সিটি। আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো প্রথমার্ধে লেভারকুজেনকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়িয়েছেন পাত্রিক শিক।
ভীষণ ব্যস্ত সূচির কথা মাথায় রেখে জানলুইজি দোন্নারুম্মা, আর্লিং হলান্ড, ফিল ফোডেন, জেমেরি ডোকুদের বেঞ্চে রেখেছিলেন সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা। দ্বিতীয়ার্ধে একে একে ফোডেন, ডোকু, হলান্ডরা মাঠে এলেও দলের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি।
প্রথমার্ধে মন্থর ফুটবল খেলে সিটি। তাদের আক্রমণে ছিল না তেমন কোনো গতি। স্বাভাবিকভাবেই সেগুলো ব্যর্থ হয় লেভারকুজেনের রক্ষণে।দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের খেলায় গতি বাড়ে, আক্রমণে ধারও বাড়ে। কিন্তু জমাটরক্ষণ এদিন আর ভাঙতে পারেনি তারা।
পঞ্চম মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় সিটি। অস্কার ববের কাট ব্যাকে ডি বক্সে বল পান নাথান আকে। জটলার জন্য তার শট ফেরানো বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে চমৎকার রিফ্লেক্সে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন লেভারকুজেন গোলরক্ষক।
২৩তম মিনিটে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগে এগিয়ে যায় লেভারকুজেন। প্রতি আক্রমণে বল পেয়ে ডি বক্সে ক্রস করেন মালিক টিলমান। ক্রিস্টিয়ান কোফানের ফ্লিক ক্লিয়ার করতে পারেননি সিটির কেউ। ছুটে গিয়ে বাঁ পায়ের গতিময় শটে জাল খুঁজে নেন গ্রিমালদো। কোনো সুযোগই ছিল না সিটি গোলরক্ষকের।
৪৫তম মিনিটে সমতা ফেরানোর দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন টিজানি রেইন্ডার্স। খুব কাছ থেকে অনেকটা গোলরক্ষক বরাবর শট নেন নেন সিটির এই ডাচ মিডফিল্ডার। পিছিয়ে থাকার হতাশা নিয়ে বিরতিতে যায় গুয়ার্দিওলার দল।
তিনটি পরিবর্তন এনে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন সিটি কোচ। তবে তাকে হতাশ করে ৫৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় বুন্ডেসলিগার দলটি। ইব্রাহিম মাজার দারুণ ক্রসে আকের বাধা এড়িয়ে দুর্দান্ত হেডে জাল খুঁজে নেন শিক।
৬৫তম মিনিটে হায়ান শের্কি ও হলান্ডকে বদলি নামান সিটি কোচ। এরপর বাড়ে স্বাগতিকদের আক্রমণ। সুযোগও আসে বেশ কিছু কিন্তু লেভারকুজেনের রক্ষণের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি সিটি।
৮৫তম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গা থেকে শের্কির ফ্রি কিক ঝাঁপ দিয়ে ঠেকান লেভারকুজেন গোলরক্ষক।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম হারের পর ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত ৬ নম্বরে আছে সিটি। ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে উঠে এসেছে লেভারকুজেন।
৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট করে নিয়ে প্রথম তিনটি স্থানে আছে বায়ার্ন মিউনিখ, আর্সেনাল ও ইন্টার মিলান।
এমআর/টিএ