রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের বর্তমান সরকার ‘অবৈধ’ এবং তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি করা ‘নিরর্থক’। তিন দিনের কিরগিজস্তান সফর শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব ‘চুক্তির খসড়া নয়’, বরং ‘আলোচনার জন্য উত্থাপিত কিছু বিষয়’। তবে ভবিষ্যতে এগুলো কোনো সমঝোতার ভিত্তি হতে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।”
তার অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মেয়াদ শেষ হলেও কিয়েভ নেতৃত্ব নির্বাচন না করায় তারা বৈধতা হারিয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে, যুদ্ধাবস্থায় ও মার্শাল ল-এর অধীনে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।
পুতিন জানান, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার অবস্থান বিবেচনা করলেও ‘আলোচনার টেবিলে আরো অনেক বিষয় পরিষ্কারভাবে আলোচনা করা প্রয়োজন’। তার ভাষায়, ‘আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে বসতে হবে।প্রতিটি শব্দই গুরুত্বপূর্ণ।’
রুশ প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী দখলকৃত অঞ্চলগুলো থেকে সরে গেলে যুদ্ধ থামবে।’ ‘যদি তারা না সরে, আমরা শক্তি প্রয়োগ করেই তা নিশ্চিত করব,’ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে পুতিন দাবি করেছিলেন, পুরো দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনীয় সৈন্য প্রত্যাহার না হলে রাশিয়া কোনো শান্তি আলোচনাই করবে না।
পাশাপাশি ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়া ও পশ্চিমা সৈন্য মোতায়েন থেকেও বিরত থাকতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে রাশিয়া।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আগামী সপ্তাহে মস্কো সফর করবেন। অপরদিকে মার্কিন সেনাবাহিনীর সচিব ড্যান ড্রিসকলও কিয়েভ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
কেএন/এসএন