নারী বিশ্বকাপ ২০২৫–এর সেই রোমাঞ্চকর সেমিফাইনাল ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। অসাধারণ এক রাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রেকর্ড চেজের নায়িকা জেমাইমাহ রদ্রিগেজ মাঠে যেমন ঝড় তুলেছিলেন, ম্যাচের পর ঠিক তেমনই ঝড় বয়ে গিয়েছিল তার মোবাইলে—এতটাই যে, শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপই আনইনস্টল করে দিতে হয়েছিল।
ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটার জেমাইমাহ সম্প্রতি ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, সেমিফাইনালের ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর চারদিক থেকে এত ফোনকল ও বার্তা আসছিল যে তা সামলানোই কঠিন হয়ে যাচ্ছিল তাঁর জন্য।
তিনি বলেন, “সেমিফাইনালের পর আমার ফোন থামছেই না। কোথা থেকে যে সবাই নম্বর পেল! একসময় দেখলাম—হাজারের মতো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পড়ে আছে। ম্যাচের আবেগ, সামনে ফাইনালের প্রস্তুতি—সব মিলিয়ে মাথায় চাপ বেড়ে যাচ্ছিল। তাই হোয়াটসঅ্যাপ আনইনস্টল করি।”
জেমাইমাহ জানান, মাত্র কয়েকজন ঘনিষ্ঠজনকে জানিয়ে দেন যে তাঁরা চাইলে সাধারণ মেসেজ বা ফোনে যোগাযোগ করবেন। বিশ্বকাপের ফাইনাল পর্যন্ত তিনি পুরোপুরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকেন। “ফাইনাল না হওয়া পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে ফিরিনি,” বলেন তিনি।
ফাইনালে ব্যাট হাতে ভালো করতে না পারলেও ভারতের প্রথম নারী বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তের পরই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরে দেখেন—পুরো টাইমলাইন ভরা তাঁর সেমিফাইনাল ইনিংস আর ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের উচ্ছ্বাসে।
“এখনও মাঝেমধ্যে স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ নিজেদের ভিডিও দেখে চমকে উঠি,” হাসতে হাসতে বললেন জেমাইমাহ।
সম্প্রতি ব্রিসবেন হিটের হয়ে উইমেনস বিগ ব্যাশ লিগের বাকি অংশে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্মৃতি মান্ধানাকে পাশে থাকার জন্যই এই বিরতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেমাইমাহ। জানুয়ারি ৯ থেকে শুরু হতে যাওয়া উইমেনস প্রিমিয়ার লিগে (ডব্লিউপিএল) তাকে ধরে রেখেছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
ভারতের নারী ক্রিকেটে নতুন যুগের সূচনার পেছনে অন্যতম নীরব নায়ক হিসেবে জেমাইমাহের সেমিফাইনালের সেই ইনিংসকে মনে রাখবে ক্রিকেটবিশ্ব।
আইকে/এসএন