মুম্বাইয়ে ‘উই দ্য উইমেন এশিয়া’ অনুষ্ঠানে আবেগঘন বক্তব্যে নাড়িয়ে দিলেন জাহ্নবী কাপুর। সমাজের বিবেককে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে তিনি সরাসরি অভিযোগ তুললেন—শোককে বিনোদন বানিয়ে ফেলেছে আমাদের সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। মায়ের মৃত্যু থেকে শুরু করে বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণ—প্রতিটি ব্যক্তিগত ক্ষত কীভাবে মানুষের ঠাট্টা-তামাশার উপাদান হয়ে উঠছে, সেই কষ্টই বারবার তুলে ধরলেন তিনি।
জাহ্নবী কাপুর বলেন, ২০১৮ সালে মা শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর যেভাবে গণমাধ্যম তাঁর ব্যক্তিগত মুহূর্তে অনধিকারচর্চা করেছে, তা তাঁকে হতবাক করে দিয়েছিল। শোক প্রকাশ করতেও তিনি ভয় পাচ্ছিলেন; মনে হচ্ছিল, তাঁর চোখের জলকেও খবর বানানো হবে। সবচেয়ে ব্যথিত করেছেন সেই সব ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, যেগুলো একজন শিল্পীর মৃত্যুকে নিয়ে নির্মম রসিকতা তৈরি করেছে। তাঁর ভাষায়, “মানবিকতা ভেঙে পড়ছে।”
ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পরও একই ধরণের অসংবেদনশীলতা তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। জাহ্নবী কাপুরের মতে, আজকের সাংবাদিকতা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে উঁকিঝুঁকির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা মানুষের নৈতিকতাকে ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রতিদিনই যেন সহমর্মিতা একটু করে হারিয়ে যাচ্ছে।
তাঁর অনুরোধ একটাই—প্রতিটি সংঘাত, প্রতিটি মৃত্যু, প্রতিটি শোকের পেছনে থাকে একটি পরিবার, থাকে মানুষ। ব্যক্তিগত বেদনা যেন আর বিনোদনের উপাদান না হয়। সংবাদ ও বিনোদনের সীমারেখা যখন ক্রমশ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, তখন সময় এসেছে শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার দিকে ফিরে তাকানোর।
ইউটি/টিএ