বায়ু দূষণ শিশুদের স্কিজোফ্রেনিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়

ভারী বায়ু দূষণের এলাকাগুলিতে বেড়ে ওঠা শিশুদের স্কিজোফ্রেনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দূষিত বাতাসে থাকা পার্টিকুলেট পদার্থ কেবল শারীরিক অসুস্থতার জন্যই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর।

আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় আইপিএসওয়াইসিএইচ-এর জেনেটিক ডেটা মূল্যায়ন করা হয়েছে। আইপিএসওয়াইসিএইচ অটিজম, বাইপোলার ডিসঅর্ডার, হতাশাসহ সর্বাধিক সাধারণ ও গুরুতর মানসিক অসুস্থতার ভিত্তি এবং চিকিৎসার সন্ধান প্রকল্প।

ডেনমার্কের আড়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকরা দেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বায়ুদূষণ সম্পর্কিত তথ্যের সঙ্গে আইপিএসওয়াইসিএইচের তথ্য একত্রিত করেছিলেন।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, বড় হওয়ার সময় যেসব শিশু উচ্চ মাত্রার বায়ু দূষণের মুখোমুখি হয়, তাদের স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। স্কিজোফ্রেনিয়া একটি দীর্ঘস্থায়ী ও মারাত্মক মানসিক ব্যাধি এবং এটি একজন ব্যক্তি কীভাবে চিন্তাভাবনা, অনুভব ও আচরণ করে তা প্রভাবিত করে।

“যেসব শিশু দৈনিক ২৫ µg/m3 এর উপরে বায়ু দূষণের সংস্পর্শে আসে তাদের মধ্যে ১০µg/m3 এর চেয়ে কম মাত্রার বায়ু দূষণের শিকার হওয়া শিশুদের তুলনায় স্কিজোফ্রেনিয়া হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি থাকে,” গবেষণার সহ-লেখক হেনরিয়েট থেটেড হর্সডাল এমন ব্যাখ্যা করেছেন।

গবেষকদের মতে, সিজোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সাধারণ মানুষের জন্য প্রায় দুই শতাংশ, তবে যারা উচ্চ বায়ু দূষণের ঝুঁকিতে পড়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি তিন শতাংশ।

“আবার আপনার যদি এই রোগের জেনেটিক ইতিহাস থাকে, তবে স্কিজোফ্রেনিয়া হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। গবেষণায় দেখা যায় যে, এই প্রভাবকগুলি একে অপরের থেকে স্বতন্ত্র,” বলে মন্তব্য করেন হর্সডাল।

বায়ু দূষণ ও সিজোফ্রেনিয়ার এই যোগসূত্রের কারণগুলি চিহ্নিত করতে আরও গবেষণা করা দরকার বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সকালের মধ্যে দেশের ৬ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 04, 2025
img
বলিউড ও হলিউডের ছোঁয়ায় রণবীরের ‘রামায়ণ’ হয়ে উঠছে মহাকাব্যিক! Jul 04, 2025
img
ব্যাটিং বিপর্যয়ে বিসিবি সভাপতির হতাশা, দায় দেখছেন মানসিকতায় Jul 04, 2025
img
ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত, ট্রাম্পকে বললেন পুতিন Jul 04, 2025
img
মূল লক্ষ্য থেকে পিছু হটবে না মস্কো, ট্রাম্পকে বললেন পুতিন Jul 04, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ: গোলাম পরওয়ার Jul 04, 2025
img
ঋতুপর্ণা হলেন বাংলাদেশের মেসি, বললেন বাফুফে কর্মকর্তা Jul 04, 2025
img
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে : গভর্নর Jul 04, 2025
img
ইতিহাসে প্রথমবার, ৩৫টি ভাষায় সরাসরি অনুবাদ হবে মক্কায় জুমার খুতবা Jul 04, 2025
img
ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর Jul 04, 2025
img
মাল্টা ও লিবিয়া উপকূলে অভিযান, উদ্ধার ১১৭ অভিবাসী Jul 04, 2025
img
বনানীর জাকারিয়া হোটেল হামলা: অভিযুক্তরা শনাক্ত, গ্রেফতারে চলছে পুলিশের অভিযান Jul 04, 2025
img
পিআর চায় অযোগ্যরা, ব্যালট চায় জনগণ : আমিনুল হক Jul 04, 2025
img
ভালুকের আক্রমণে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের Jul 04, 2025
img
বিয়ের আগের দিন ক্যাম্পাসে এসে আটক জবি ছাত্রলীগ নেতা Jul 04, 2025
img
রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ‘সাকিব ও মাশরাফির মতো আমারও ভুল হয়েছে’ Jul 04, 2025
img
দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজগুলো বাদ দেওয়ার আহ্বান ক্লাসেনের Jul 03, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষায় নকল করায় একই কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার Jul 03, 2025
img
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পঞ্চাশ বছরেও কোনো সরকার বন্ধ করতে পারে নাই : নাহিদ ইসলাম Jul 03, 2025
img
পনেরো বছর পর গানে ফিরলেন শঙ্কর চক্রবর্তী Jul 03, 2025