বলিউডে প্রবেশের শুরুতে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার পথ ছিল সরল নয়। অভিজ্ঞতা বা পরিচিতির কোনো সহায়তা না নিয়ে তিনি যখন ছবির জগতে পা রাখেন, তখন নিজেকে বিচ্ছিন্ন ও হারানো মনে হয়েছিল। অভিভাবক ছিলেন চিকিৎসক, আর পরিবারের কেউ সিনেমা ব্যবসার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না। তাই শুরুতেই এই অজানা জগতের চাপে তিনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, “আমি জানতাম না কেন আমি প্রান্তিক গল্পের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছি। সম্ভবত কারণ আমি নিজে সেই অবস্থায় ছিলাম যখন শিল্পজগতে প্রবেশ করেছিলাম। সবকিছুই আমার কাছে নতুন ও ভীতিজনক ছিল।” এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই পরবর্তীতে তাকে নতুন ও অপ্রচলিত কাহিনীকে সমর্থন করার প্রেরণা জোগায়।
আজ তিনি নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘পার্পল পেবল পিকচার্স’-এর মাধ্যমে নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সমর্থন করছেন। প্রিয়ঙ্কা বলেন, “আমি তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই, যারা এখনও সুযোগ পায়নি, যারা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি। আমার সিদ্ধান্ত সবসময় আসে যা আমাকে নিজে স্পর্শ করে।” এইভাবে, তার প্রযোজনায় উঠে এসেছে অর্থবহ এবং সমসাময়িক গল্পের প্রতিফলন।
বলিউডে outsider থেকে powerhouse-এ যাত্রা প্রিয়ঙ্কাকে শুধুমাত্র অভিনেত্রী নয়, বরং এক প্রেরণাদায়ক প্রযোজক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার এই যাত্রা নতুন নির্মাতাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
এমকে/এসএন