বাংলা চলচ্চিত্রের সুপরিচিত পরিচালক রাজ চক্রবর্তী তার ক্যারিয়ারের প্রারম্ভিক সময়ের কিছু স্মৃতিচারণ করেছেন। তিনি জানান, “আমার কাছে একটা শো-র অফার আসে। একটা টেলিফ্লিমের জন্য। আমি বলেছিলাম, যে একটা সুযোগ দিন। আমি চেষ্টা করি। আমায় কোনও টাকা-পয়সা দিতে হবে না। আমি যে সিনেমা বানাব, সেটার ক্যাসেট ছুঁড়ে ফেলে দেবেন না হয়। আমি চলে যাব। উনি সুযোগ দিলেন।”
রাজ চক্রবর্তীর স্মৃতিতে উঠে এসেছে পদ্মনাভ দাশগুপ্তের সহযোগিতার কথা। তিনি বলেন, “পদ্মনাভ দাশগুপ্ত আমায় একটা গল্প দিলেন। টাকা ছিল না, চেনাজানা মানুষদের বললাম একটু বাকিতে করিয়ে দেবে? বাকি দেড় লাখ টাকার ওপর ধার। জানতাম না যে ফেল করলে টাকা কোত্থেকে দেব।”
এই ব্যক্তিগত গল্প পরিচালক হিসেবে তার উৎসাহ, সাহস এবং পেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করে। ভক্তরা এই উদারতা, ঝুঁকি নেওয়া এবং চলচ্চিত্রের প্রতি তার গভীর মনোযোগ দেখে অনুপ্রাণিত হন। রাজ চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, শিল্পী জীবনে কখনও কখনও অর্থের চেয়ে সম্ভাবনা এবং সৃজনশীলতার সুযোগই মূল প্রেরণা হয়ে ওঠে।
পূর্ববর্তী ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায়, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন পরিবারের দায়িত্ব, রুদ্রনীল ঘোষের কলেজ প্রেমের নস্টালজিয়া এবং জিৎ–দেবের মজাদার মুহূর্ত- একসাথে প্রমাণ করছে, বিনোদন জগতে তারকারা শুধু ক্যারিয়ার নয়, ব্যক্তিগত আবেগ, স্মৃতি এবং সম্পর্কের মধ্যেও ভক্তদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন।
কেএন/এসএন