শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যাঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির কারণে শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) নতুন করে ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে গত সপ্তাহের ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়া’-তে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে ৬০৭ জনে পৌঁছেছে।
পাহাড়ি ঢালের স্থিতিশীলতা পর্যবেক্ষণকারী ন্যাশনাল বিল্ডিং রিসার্চ অর্গানাইজেশন (এনবিআরও) জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড়গুলোকে আরো সিক্ত করে তুলতে পারে এবং সেগুলোকে অস্থিতিশীল করে দিতে পারে।
এক বিবৃতিতে এনবিআরও জানায়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত ১৫০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ভূমিধসের ঝুঁকি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
সর্বশেষ এই প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে মৌসুমি বৃষ্টির আগমনের কারণে, যদিও গত সপ্তাহে শুরু হওয়া আগের কিছু বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, ৬০৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আগে যারা নিখোঁজ ছিলেন, তাদের অনেকেরই এখন বিধ্বংসী কাদাপ্রবাহে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিখোঁজের সংখ্যা ৩৪১ থেকে সংশোধন করে ২১৪ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে, আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে সামান্য বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখে।
রাজধানী কলম্বো ও আশপাশের এলাকায় বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় রাষ্ট্রপরিচালিত শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা সর্বোচ্চ দুই লাখ ২৫ হাজার থেকে আরো কমে এক লাখ ৫০ হাজারে নেমে এসেছে।
রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণেই এই বন্যা ও প্রাণঘাতী ভূমিধসের ঘটনা ঘটে, যাকে প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে দ্বীপটির ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
কেএন/এসএন