লাল সাগর চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫-এ নিজের কর্মজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে অকপটভাবে কথা বললেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। দেবদাসের বিপুল সাফল্যের পর যখন গোটা ইন্ডাস্ট্রি তাঁর পরবর্তী “বড় প্রজেক্ট” দেখার অপেক্ষায় ছিল, তখনঐশ্বরিয়ার পছন্দ ছিল সম্পূর্ণ আলাদা-ঋতুপর্ণ ঘোষের চোখের বালি।
তাঁর কাছে সিদ্ধান্তটি ছিল না বাজেট, প্রচার বা তারকা-রাজনীতির ওপর নির্ভরশীল; বরং ছিল একটি সুন্দর গল্পের ডাক।
ঐশ্বরিয়া জানান, অনিশ্চয়তা বা নিরাপত্তাহীনতা কোনওদিনই তাঁর সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেনি, যদিও চারপাশের অনেকে তাঁকে ভিন্ন দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছেন। শুরু থেকেই-মানি রত্নমের ইরুভার-এর দিন থেকেই-তাঁর ঝোঁক ছিল এমন ছবির দিকে, যেখানে গল্পই আসল শক্তি।
দেবদাসের পরবর্তী উত্তেজনার সময় তিনি মনে করেছিলেন-
“সবাই বলছিল, এবার কোন বড় ছবি?… আর আমি করলাম চোখের বালি। ভেবেছিলাম, এ তো এক দারুণ গল্প-এটাই করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, তাঁর পেশাগত যাত্রা সবসময়ই ছিল নিজের স্পষ্টতা ও সত্যনিষ্ঠার ওপর দাঁড়ানো, শিল্পের প্রচলিত ধারণার সঙ্গে মিলুক বা না-মিলুক। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সেই সকল নির্মাতাদের প্রতি, যারা বছরের পর বছর তাঁকে ব্যতিক্রমী চরিত্র উপহার দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দেন-যে কাজ তাঁকে না ছুঁয়ে যায়, তা তিনি নির্দ্বিধায় ফিরিয়ে দেন।
পন্নিয়িন সেলভান ২-এর পর নতুন কোনও ছবিতে না দেখা গেলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত। ফেস্টিভ্যাল, ফ্যাশন ইভেন্ট, বৈশ্বিক আলোচনায় তিনি রয়ে গেছেন ভারতের অন্যতম মুখ। আর তিনি অপেক্ষা করছেন-পরবর্তী সেই গল্পটির জন্য, যা সত্যিই তাঁর হৃদয়ে দাগ কাটবে।
পিএ/এসএন