স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শুকনো আদাগুঁড়োর পাঁচটি ব্যবহার

শুকনো আদাগুঁড়োর উপকারী গুণাগুণ আপনাকে অবাক করে দেবে। এই আদাগুঁড়া উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা পেশী ও শরীরের ব্যথা কমাতে সহায়ক। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে শুকনো আদাগুঁড়ো থাকলে তা ট্রাইপসিন ও লিপেজ সক্রিয় করতে সাহায্য করবে। হজমে সহায়ক এই এনজাইমগুলি প্রোটিন এবং চর্বি ভাঙ্গায় সহায়তা করে।

এছাড়াও আদা একটি প্রাকৃতিক বেদনানাশক হিসাবে কাজ করে। এটি শীতকালে সৃষ্ট ত্বকের চুলকানি, চুলের রুক্ষতা এবং চামড়া নিস্তেজ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি মোকাবেলায় কাজ করে।

আসুন জেনে নিই, শুকনো আদাগুড়োর পাঁচটি ব্যবহার সম্পর্কে-

মসলা চা
এককাপ মসলা চা নিঃসন্দেহে আপনার শরীরকে আরও চাঙ্গা আর সতেজ করে তুলতে পারে। এটি মনকে শান্ত করে এবং স্ট্রেস উপশম করতে সাহায্য করে। সাধারণ চায়ের সঙ্গে আদার গুড়ো মিশিয়ে সুস্বাদু মশলা চা তৈরি করতে পারেন।

আদা, ঘি ও গুড়
এক চিমটি আদাগুড়ো, ঘি ও গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে ছোট ছোট বড়ি বানাতে পারেন। দুপুর ও রাতের খাবারের পরে আপনি এই বড়ি খেতে পারেন। এটি অযাচিত চিনির আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। এছাড়াও হজমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ওষুধ গ্রহণ করা লোকদের জন্য গুড় ও ঘিযুক্ত আদাগুড়ো সহায়ক হতে পারে।

দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঘুমোনোর আগে পান করুন
এক গ্লাস দুধে কিছুটা কেশর (জাফরান), কিছুটা আদাগুড়ো, কাজু বাদাম, হলুদ এবং কিছু জায়ফল যোগ করুন। শোবার সময় এটি পান করলে আপনার ঘুম ভালো হবে। এটি আপনার হাড় ও জয়েন্ট শক্তিশালী করার জন্যও কার্যকর। ডায়াবেটিস, জয়েন্টে ব্যথা এবং বাত ব্যথায় আক্রান্ত লোকেরা এ থেকে উপকৃত হবেন।

কাশি ও সর্দি জন্য আদা, ঘি, গুড় এবং হলুদের মিশ্রণ
সমান পরিমাণে ঘি, গুড়, আদা এবং হলুদ মিশিয়ে বল তৈরি করতে পারেন। নিয়মিত কাশি, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এটি খেলে উপকৃত হবেন।

ঘি ও আদাগুড়ো
অল্প ঘিয়ে আদাগুড়ো মেশান এবং শোবার আগে পায়ের তলদেশে পেস্টটি ঘষুন। এটি আপনার ঘুমকে উন্নত করতে, হজমে সমস্যা হ্রাস করতে এবং এমনকি দুঃস্বপ্ন হ্রাস করতেও সহায়তা করবে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সকালের মধ্যে দেশের ৬ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 04, 2025
img
বলিউড ও হলিউডের ছোঁয়ায় রণবীরের ‘রামায়ণ’ হয়ে উঠছে মহাকাব্যিক! Jul 04, 2025
img
ব্যাটিং বিপর্যয়ে বিসিবি সভাপতির হতাশা, দায় দেখছেন মানসিকতায় Jul 04, 2025
img
ইরানের সঙ্গে সংঘাত কেবল কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা উচিত, ট্রাম্পকে বললেন পুতিন Jul 04, 2025
img
মূল লক্ষ্য থেকে পিছু হটবে না মস্কো, ট্রাম্পকে বললেন পুতিন Jul 04, 2025
img
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা এখনো প্রশ্নবিদ্ধ: গোলাম পরওয়ার Jul 04, 2025
img
ঋতুপর্ণা হলেন বাংলাদেশের মেসি, বললেন বাফুফে কর্মকর্তা Jul 04, 2025
img
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে : গভর্নর Jul 04, 2025
img
ইতিহাসে প্রথমবার, ৩৫টি ভাষায় সরাসরি অনুবাদ হবে মক্কায় জুমার খুতবা Jul 04, 2025
img
ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর Jul 04, 2025
img
মাল্টা ও লিবিয়া উপকূলে অভিযান, উদ্ধার ১১৭ অভিবাসী Jul 04, 2025
img
বনানীর জাকারিয়া হোটেল হামলা: অভিযুক্তরা শনাক্ত, গ্রেফতারে চলছে পুলিশের অভিযান Jul 04, 2025
img
পিআর চায় অযোগ্যরা, ব্যালট চায় জনগণ : আমিনুল হক Jul 04, 2025
img
ভালুকের আক্রমণে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের Jul 04, 2025
img
বিয়ের আগের দিন ক্যাম্পাসে এসে আটক জবি ছাত্রলীগ নেতা Jul 04, 2025
img
রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ‘সাকিব ও মাশরাফির মতো আমারও ভুল হয়েছে’ Jul 04, 2025
img
দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজগুলো বাদ দেওয়ার আহ্বান ক্লাসেনের Jul 03, 2025
img
এইচএসসি পরীক্ষায় নকল করায় একই কলেজের ১০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার Jul 03, 2025
img
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড পঞ্চাশ বছরেও কোনো সরকার বন্ধ করতে পারে নাই : নাহিদ ইসলাম Jul 03, 2025
img
পনেরো বছর পর গানে ফিরলেন শঙ্কর চক্রবর্তী Jul 03, 2025