জেনে নিন, যেসব অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে

যখন মানসিক স্বাস্থ্যের কথা আসে তখন মনে রাখতে হবে যে, এমন অনেক সাধারণ ব্যাপার রয়েছে যা সহজেই কোনো ব্যক্তিকে উদ্বিগ্ন করে দেয়ার সক্ষমতা রাখে। মানসিক চাপ, মেজাজের পরিবর্তন, তীব্র উদ্বেগ, আতঙ্ক এবং এমন আরও অনেক উপসর্গ রয়েছে, যা নির্দেশ করে যে আপনি সম্ভবত মানসিকভাবে খুব একটা ভালো নেই। একারণে, বিপর্যয় রোধ করতে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরির অনুঘটকগুলি সনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আসুন জেনে নিই, দৈনন্দিন জীবনের যেসব সাধারণ বিষয় সহজেই মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে-

বাজে অঙ্গবিন্যাস
স্বাস্থ্যকর অঙ্গবিন্যাস আমাদেরকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। অন্যদিকে বাজে অঙ্গবিন্যাস আমাদের আত্মবিশ্বাস কম করে এবং হতাশা বৃদ্ধি করে। জার্নাল অফ বিহ্যাভিয়ার থেরাপি এবং এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিতে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুসারে, সোজা হয়ে বসলে হতাশার লক্ষণ সমূহ হ্রাস হয়। সমীক্ষাতে ইতিবাচক মনোভাব এবং মানসিক শক্তির সঙ্গে ভালো অঙ্গবিন্যাসের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেছে।

অগোছালো পরিবেশ
আপনার থাকার জায়গাটি যদি অগোছালো বা বিশৃঙ্খল থাকে, তবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জার্নাল অফ নিউরোসায়েন্সে প্রকাশিত ২০১১ সালের এক গবেষণা অনুসারে, বিশৃঙ্খলা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে। এই স্ট্রেস আপনাকে স্বাস্থ্যহীনতা, অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখা বা অতিরিক্ত ঘুমের মতো বদভ্যাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত ব্যস্ততা
আজকাল অনেকেই মনে করেন অতিরিক্ত ব্যস্ততা মানে ‘কুলনেশ’। কিন্তু আপনার সক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত কাজ করলে তা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে হতাশা, অবসাদ, উদ্বেগ প্রভৃতি দেখা দিতে পারে। সুতরাং ধীরে চলুন, সময় নিন এবং শান্ত হয়ে কাজ করুন।

সর্বদা ‘হ্যাঁ’ বলা
বিশ্বজুড়ে বিশ্বাস করা হয় যে ‘না’ বলা বা কাউকে প্রত্যাখ্যান করা অভদ্রতা। অন্যদিকে, ‘না’ বলতে না পারলে আপনাকে যে কাজ দেয়া হবে আপনি তাই নিয়ে নেবেন এবং আপনার দৈনন্দিন রুটিন খুব বেশি ব্যস্ত হয়ে যাবে। অতিরিক্ত ব্যস্ততার কারণে নিজেকে সময় দিতে না পারলে তা থেকে ক্লান্তি, বিরক্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সবকিছুতে ‘হ্যাঁ’ বলে দেয়ার পরিবর্তে সময় নিন এবং ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

চিন্তাভাবনার দমন
চিন্তা-ভাবনাগুলি, বিশেষত নেতিবাচক বিষয়গুলি জোর পূর্বক দমন করলে তা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার চিন্তাভাবনা জোর করে দমন করলেই তা যাদুকরীভাবে অদৃশ্য হয়ে যায় না। জোরপূর্বক আমাদের দুঃখ, হতাশা, মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দমন করলে তা পরবর্তীতে অন্যকোনো মুহূর্তে প্রকাশিত হতে পারে। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: