আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষকে জেতাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ কর্মসূচির আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে জনগণের যে পরিকল্পনা আছে, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
ধানের শীষকে জেতানোর মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আপনাদের নির্বাচনী এলাকা, গ্রামে, পৌরসভার ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের কাছে বিএনপির রাষ্ট্র পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে। আগামীর নির্বাচনে আমরা জনগণের রায় ও সমর্থন চাই।
তিনি আরও বলেন, পত্রিকার পাতা খুললে দেখি শুধু ডিবেট আর ডিবেট, এর এটা ভালো না, ওর ওটা ভালো না এসব চলছে। আসুন, আমরা এই সমালোচনা থেকে বের হয়ে আসি। আমরা রাজনীতিবিদরা যাদের সাধারণ মানুষ বলে গণ্য করে, তারা এসব ডিবেট শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে গেছে। আমার ধারণা মানুষ এখন স্পষ্ট ও ক্লিয়ার রাস্তা দেখতে চায়।
ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কোনো মেগা প্রজেক্টে খরচ করবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার পেছনে টাকা খরচ করবো, জনবল তৈরির পেছনে। আমরা কোনো মেগা প্রজেক্টে যাবো না, এতে দুর্নীতি হয়। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরে কোনো দেশে কি ধরনের কাজের ব্যবস্থা সৃষ্টি হতে পারে, কি তাদের রিকয়ারমেন্ট, সেভাবে আমাদের ভোকেশনাল এবং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সাজাবো।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এমন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যাতে বড় হয়ে একজন শিক্ষার্থী দুশ্চিন্তায় না পড়ে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী যখন ১০ম বা ১২তম ক্লাস পাস করবে, অন্তত দুটো বিদেশি ভাষা লিখতে ও পড়তে সক্ষম হবে। তাদের কোয়ালিটি সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে পারলে তারা কোথাও আটকে থাকবে না।
তিনি আরও জানান, দমবন্ধ করা এই শহরে খেলার মাঠ নেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে।
বিএনপি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে চায় জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমরা অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত করতে চাই। তিনি জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে, যার ৮০–৮৫ শতাংশ হবেন নারী।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে স্মরণ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পুরো সময়টায় শুধু রাজনৈতিক কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষের মানবাধিকারও লঙ্ঘিত হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী নির্যাতন, হত্যা, গুমের শিকার হয়েছেন। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না বিএনপি।
তিনি বলেন, বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের জন্মগত অধিকার। মানুষকে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। অন্য দল ও ব্যক্তির রাজনৈতিক আদর্শ উপস্থাপনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।
অন্য কোনো রাজনৈতিক দল আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, তা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একমাত্র বিএনপিই এই পরিকল্পনা দিয়েছে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই।
আইকে/টিকে