‘ভোট যুদ্ধ’ মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের মাঠে নামার আহ্বান

‘ভোট যুদ্ধ’ মোকাবিলায় দলীয় নেতা-কর্মীদের একযোগে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারাদেশ থেকে আসা দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান জানান।

ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনার কর্মসূচি’ শীর্ষক এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মশালায় সারা দেশে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা অংশ নেন। 

তিনি বলেন, ‘আপনারা পরীক্ষিত নেতা-কর্মী। শত অত্যাচার-নির্যাতনের মধ্যেও আপনারা এই দলকে ধরে রেখেছেন। সেই ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে শুরু করে গত স্বৈরাচারের ১৫ বছরের ষড়যন্ত্র সব আপনারা মোকাবিলা করেছেন। তাহলে এখন কেন এই সামনের যে নির্বাচনী যুদ্ধ, এই যুদ্ধ মোকাবিলা করতে পারবেন না? আপনাদের দলের যে পরিকল্পনা জনগণকে ঘিরে, দেশকে ঘিরে– কেন সেটা জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারবেন না? চাইলেই আপনারা এটা করতে পারবেন, এটা করতে হবে।’

তারেক বলেন, দেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের জনগণের সমর্থন প্রয়োজন এবং জনগণের সমর্থন পেতে হলে আপনাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন। আসুন আমরা সেই উদ্যোগ গ্রহণ করি। তারেক বলেন, আপনি নিজের এলাকায় যাবেন, আপনি কষ্ট করবেন আপনার দলের পরিকল্পনাগুলোকে সফল করার জন্য। আপনার সামনে থাকবে ধানের শীষ। আপনার সামনে কোনো ব্যক্তি থাকবে না। ধানের শীষকে আপনি বের করে নিয়ে আসবেন, ধানের শীষের পক্ষে আপনি জনগণের মতামতকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। আপনি জনগণের মতামতকে এক জায়গায় ব্যালট বক্সের ভেতরে নিয়ে আসবেন।

তিনি বলেন, আপনাদের মিটিং করে বললে হবে না। ছোট ছোট গ্রুপ করে ঘরে ঘরে যেতে হবে, মাঠে মাঠে যেতে হবে। কৃষকের ক্ষেতে যেতে হবে। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনের কাছে যেতে হবে, প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে যেতে হবে, ঘরে ঘরে মা-বোনদের কাছে যেতে হবে, স্কুল-কলেজের তরুণ-তরুণীদের কাছে যেতে হবে, যুবকদের কাছে যেতে হবে। আপনারা পেরেছেন স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করতে, আপনারা পেরেছেন ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে। গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনের এই কাজেও আপনারা সফল হবেন—এই প্রত্যাশা আমি করছি।'

তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনাগুলো জনগণকে জানতে হবে। আপনারা ছাড়া জনগণের পক্ষে জানা সম্ভব না। আপনি যদি না যান, আরেকজন যাচ্ছে সে গিয়ে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে জনগণের মাঝে। কাজেই এই মিথ্যা বিভ্রান্তি তখনই বন্ধ হবে যখন আপনি মাঠে হাজির হয়ে যাবেন।

‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক, দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।


ইউটি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হবে: নিপুণ রায় Dec 11, 2025
img
ফোনালাপে মাদুরো সরকারের প্রতি সমর্থনের আশ্বাস দিলেন পুতিন Dec 11, 2025
img
ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে সমতায় ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা Dec 11, 2025
img
এক ওভারে ৭ ওয়াইড! অর্শদীপের কাণ্ডে ক্ষুব্ধ গম্ভীর, ভিডিও ভাইরাল Dec 11, 2025
img
আসিফ মাহমুদকে নিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল বিসিবি Dec 11, 2025
img
দেশের প্রত্যেকটি মানুষের ভোটের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্ন: পুতুল Dec 11, 2025
img
প্রথমবার কনসার্টে দুই ছেলের সঙ্গে গাইলেন শাকিরা Dec 11, 2025
img
সাবেক গোয়েন্দাপ্রধানকে ১৪ বছর কারাবাসের সাজা দিলো পাকিস্তান Dec 11, 2025
img
এবারের বিজয় দিবসে সর্ববৃহৎ পতাকা প্যারাস্যুটিং দেখবে বিশ্ব Dec 11, 2025
img
‘ভোট যুদ্ধ’ মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের মাঠে নামার আহ্বান Dec 11, 2025
img
ঐশীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্য ও প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন আরিফিন শুভ Dec 11, 2025
img
বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে দুঃখ প্রকাশ আতিফ আসলামের Dec 11, 2025
img
দেশে আবারও বৃদ্ধি পেল স্বর্ণের দাম! Dec 11, 2025
img
সীমিত পরিসরে রিটার্নিং কর্মকর্তা হচ্ছেন ইসি কর্মকর্তারা Dec 11, 2025
img

মাইলস্টোন দুর্ঘটনা

নিহতদের পরিবার পাবে এককালীন ২০ লাখ টাকা, আহতরা ৫ লাখ Dec 11, 2025
img
নির্বাচনী জনসভার ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশকে জানানোর নির্দেশ ইসির Dec 11, 2025
img
৩২ ঘন্টা পর জীবিত উদ্ধার সাজিদ, নেয়া হচ্ছে রাজশাহী মেডিকেলে Dec 11, 2025
img
৩২ ঘণ্টা পর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার Dec 11, 2025
img
হাসপাতালে ৫ দিন, কেমন আছেন নচিকেতা ? Dec 11, 2025
img
সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না হলে আমরা অংশগ্রহণ করব না : কাদের সিদ্দিকী Dec 11, 2025