বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশিত ভিডিওতে এ চিত্র দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার পাশে ড্রেনের ঢাকনা বহুদিন ধরে ভাঙা বা খোলা অবস্থায় পড়ে ছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি।
ঘটনার পর এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে গরুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। তবে এখন পর্যন্ত গরুটিকে ড্রেন থেকে তোলা হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনের ঢাকনা ভাঙা বা খোলা অবস্থায় থাকায় নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা দ্রুত সমস্যাটি সমাধান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলরা জানান, বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে এবং দ্রুতই ড্রেনের ঢাকনাগুলো মেরামত করা হবে।
এদিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলায় গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু স্বাধীনকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের টানা প্রচেষ্টা চললেও এখনও তাকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে শিশুটি খোলা অবস্থায় থাকা নলকূপের গভীর গর্তে পড়ে যায়। স্বাধীন ওই গ্রামের রাকিব উদ্দীনের ছেলে।
গর্তটির গভীরতা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট বলে জানা গেছে। পাঁচটি ইউনিট নিয়ে ফায়ার সার্ভিস রাতভর ও পরদিন সকাল পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালালেও বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র ৩০ ফুট পর্যন্ত খনন করা গেছে। শিশুটি গর্তে আটকে থাকার সময় পেরিয়ে গেছে ২২ ঘণ্টা। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, গর্তটি অত্যন্ত সরু ও গভীর হওয়ায় কাজটি খুবই জটিল হয়ে পড়েছে, তবু সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, রাস্তার পাশে খোলা গর্ত, ভাঙা ড্রেনের ঢাকনা ও অবহেলায় বিপজ্জনক স্থাপনা জনজীবনকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এমন দুর্ঘটনা বেড়েই চলবে—এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন তারা।
কেএন/এসএন