কলকাতায় লিওনেল মেসির সফর ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল, শনিবার তা একদিকে যেমন তারকাময় মুহূর্ত উপহার দিল, তেমনই অন্যদিকে রেখে গেল তীব্র হতাশা আর ক্ষোভ। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। বহু মানুষ চড়া দামে টিকিট কেটে এসেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্রকে এক ঝলক দেখার আশায়। কিন্তু বাস্তব চিত্র ছিল ভিন্ন। মেসিকে ঠিকভাবে দেখতে না পেয়ে পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
মাঠে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় সত্তর থেকে আশি জন মানুষ মেসিকে ঘিরে ধরেন। নিরাপত্তার কারণে তাঁকে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে গ্যালারিতে অপেক্ষারত দর্শকরা প্রিয় তারকাকে কাছ থেকে দেখার সুযোগই পাননি। অনেকের চোখে জল, অনেকের কণ্ঠে ক্ষোভ এত টাকা খরচ করেও স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা চেপে রাখতে পারেননি তাঁরা।
এর আগেই মেসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। মুম্বই থেকে উড়ে এসে পুত্র আব্রামকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলে মেসির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেই মুহূর্তের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই। যদিও যুবভারতীতে শাহরুখের আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মাঠে তাঁকে দেখা যায়নি। ফলে বহু অনুরাগীর প্রত্যাশা অপূর্ণই থেকে যায়— এক ফ্রেমে মেসি ও শাহরুখকে দেখার স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি।
কলকাতায় মেসির সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, স্বরূপ বিশ্বাসসহ আরও কয়েকজন পরিচিত মুখকে। এই তারকাময় উপস্থিতি একদিকে আলোচনার জন্ম দিলেও, সাধারণ দর্শকের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তোলে।
কলকাতার পর মেসির সফরসূচির পরবর্তী গন্তব্য হায়দরাবাদ। সেখান থেকে তিনি রওনা দেবেন মুম্বইয়ের উদ্দেশে। রবিবার মুম্বইয়ে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানেই ফুটবল মহাতারকার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন করিনা কপূর খান। শুধু করিনা নন, সেই দিন মেসির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে শচীন তেন্ডুলকর, জন আব্রাহাম ও জ্যাকি শ্রফেরও। তবে আরও কারা কারা উপস্থিত থাকবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
একদিকে তারকাদের সঙ্গে মেসির সৌজন্য বিনিময়, অন্যদিকে সাধারণ দর্শকের হতাশা এই বৈপরীত্যই আপাতত মেসির ভারত সফরের সবচেয়ে আলোচিত দিক হয়ে উঠেছে।
এমকে/টিএ