ওপার বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবীণ অভিনেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জি জীবনের এক গভীর যন্ত্রণার কথা জানিয়ে আবারও আলোচনায় এলেন। পর্দায় হাসি আর প্রাণবন্ত উপস্থিতির আড়ালে যে কতটা কঠিন বাস্তব লুকিয়ে ছিল, সেই অভিজ্ঞতার কথাই এবার প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। একসময় হাসপাতালের বিল মেটাতে না পারার কারণে নিজের সন্তানকে মর্গে দেখতে হয়েছিল তাকে এই নির্মম স্মৃতি আজও তাড়া করে বেড়ায়।
অভিনেত্রীর কণ্ঠে সেই দিনের কথা উঠে এলেও, তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এসব স্মৃতি মনে করতে তিনি চান না। তাঁর মতে, এগুলো অত্যন্ত নেতিবাচক এবং জীবনকে আরও ভারী করে তোলে। তাই তিনি ইচ্ছে করেই নিজেকে ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করেন। মৌসুমীর বিশ্বাস, জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলো মানুষকে ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি বাস্তবতাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, এই অভিজ্ঞতাগুলোই প্রমাণ করে দেয়, পৃথিবীতে কত রকমের মানুষ আছে। কেউ পাশে দাঁড়ায়, কেউ মুখ ফিরিয়ে নেয়। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি জীবনের মানুষ চিনতে শিখেছেন। দুঃখকে শক্তিতে বদলে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়াকেই তিনি নিজের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
মৌসুমী চ্যাটার্জির এই বক্তব্য শুধু একজন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত যন্ত্রণার কথা নয়, বরং সমাজের এক কঠোর বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। তারকাখ্যাতির আড়ালেও যে মানুষের জীবন কতটা অনিশ্চিত আর নিষ্ঠুর হতে পারে, সেই সত্যটাই আবার সামনে এল তার কথায়।
আরপি/এসএন