আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
আজ রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে ঘিরে সহিংসতা ও নিরাপত্তা হুমকি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে আয়োজিত বৈঠক শেষে তিনি এই কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি হামলাকারী হাদির সঙ্গে বেশ কিছুদিন সখ্যতা গড়ে তোলে। তারপর সুযোগ বুঝে হামলা চালায়।
এটা ছিল পরিকল্পিত ও চোরাগোপ্তা আক্রমণ।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামনে এই ধরনের হামলার সম্ভাবনা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘দুটি জেলার নির্বাচন অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।
আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’
নাশকতা প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যে অভিযান চালিয়েছে, তা নিয়ে কমিশনার বলেন, ‘ডেভিল হান্ট-০১ নামে একটি অভিযান শুরু হয়েছিল। সেই অভিযানে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তারা সবাই এখন জামিনে ছাড়া পেয়ে গিয়েছে।'
এই পরিস্থিতিকে হতাশাজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তারা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে রেবেল হান্ট-০২ নামে দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু হয়েছে বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী আমাদের জানিয়েছে। এ ছাড়া এই পর্যায়ে আমরা আরো গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযান চালাচ্ছি। যারা নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর একে অপরকে দোষারোপ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরিপক্ব তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের ইমম্যাচিউর তথ্য ও দোষারোপের রাজনীতি মাঠের নাশকতাকারীদের উৎসাহিত করছে। আমরা সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
ব্রিফিংয়ের শেষ বক্তব্যে কমিশনার বলেন, ‘কোনো নাশকতাকারী যেন উৎসাহিত বোধ না করে এটাই ছিল আজকের মেসেজ।’
বৈঠকে অংশ নেন আইজিপি, পুলিশ কমিশনার, বিজিবি মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র ও আইনসচিব ও এনটিএমসি প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা।
আরপি/এসএন