বিড়ম্বনায় সিইসি, মিলেনি আঙ্গুলের ছাপ!

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় বিড়ম্বনায় শিকার হয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। পরে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) দেখিয়ে নিজের ভোট প্রদান করেন তিনি।

শনিবার দুপুর সোয়া ১১ টার দিকে উত্তরার আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট দেন সিইসি।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, এজেন্টদের কেন্দ্রে টিকে থাকতে হবে। যদি কেউ বাধা প্রদান করে তাহলে তাদের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়ে অভিযোগ করতে হবে। এ অভিযোগেও যদি সমাধান না হয়, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন হতে হবে। সেটা না করে বাইরে গিয়ে অভিযোগ করবেন, এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে, সেই অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এজেন্টদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। তারা নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ করবেন। এসব না করে বের হয়ে অভিযোগ করলেও কোনো লাভ হবে না।

ইভিএম ভোটারদের ইতিবাচক সাড়া মিলছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে পেরে ভোটাররা খুশি। ভোটের পরিবেশ খুব শান্ত। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। আমরা ভোটের সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট। 

এর আগে শুক্রবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইভিএমে জালিয়াতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেছিলেন, এত সহজ নাকি! এত সহজ! প্রশ্নই ওঠে না। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আগে যখন ব্যালটে ভোট হতো, তখন ছিনতাই করে নিলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত। কিন্তু ওইরকম করা কি সম্ভব? ইভিএম এমন একটা জিনিস, যেখানে ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে হবে। এটা আমাদের অর্জন। আগে ভোটার যেত বা না যেত, ভোট হয়ে যেতে পারত। এখন আর সেই সুযোগ নেই।

ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এবার দুই সিটির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকার দুই সিটিতে ২ হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র ও ১৪ হাজার ৪৩৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ হাজার ৩১৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৭ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষ এবং দক্ষিণ সিটিতে ১ হাজার ১৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ৬ হাজার ৫৮৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: