হুট করে আজ বৃৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম রয়েলসের দায়িত্ব ছেড়ে দেয় মালিকপক্ষ। পরে সেই দায়িত্ব নিয়েছে বিসিবি। যে কারণে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পাওয়া নিয়ে হওয়া জটিলতা আর থাকছে না। পরে দলটিতে নতুন ভূমিকায় যোগ দেয়া হাবিবুল বাশার সুমন জানিয়েছেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। বিসিবির এমন সিদ্ধান্তে নিজেদের খুশির কথা জানিয়েছেন ক্রিকেটারাও।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বাশার বলেন, ‘সব কাজই কঠিন, কোন কাজই সহজ নয়। একদম কালকে খেলা আজকে আমি ওদের সাথে যোগ দিলাম। অবশ্যই, এটা চ্যালেঞ্জিং এবং বিপিএলে নিজেই একটা চ্যালেঞ্জ, বিগ চ্যালেঞ্জ। যদিও সময় কম কিন্তু এটুকু সময়ের মধ্যে যতটুকু করা সম্ভব সেটুকু চেষ্টা করছি। বিদেশি খেলোয়াড় দুজন এসেছেন, দুজন খেলবেন। বাকিদের সাথে আমি যোগাযোগ শুরু করেছি।’
‘কালকের ম্যাচে পাব না আশা করছি তারপরের ম্যাচ থেকে হয়ত চলে আসবে, যাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা এখন কমফোর্ট জোনে আছে। তারা কমফোর্ট ফিল করছে। আজ আমি সবার সঙ্গে কথা বললাম, প্রত্যেকেই খুশি। অন্তত তারা এখন একটা ভালো ম্যানেজমেন্টের সাথে কাজ করতে পারবে, খেলতে পারবে, তাদের আর অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। খেলোয়াড়দের দিক থেকে তারা খুব খুশি।’
চট্টগ্রামের মেন্টরের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছে, টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন আগে দলের সঙ্গে যোগ দেয়া, ‘এর আগেও আমি বিপিএলে সরাসরি কাজ করেছি। খুলনা টাইটান্সে অনেক দিন কাজ করেছি। তারপর আরেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কাজ করেছি। সুতরাং এটা আমার জন্য নতুন কিছু নয়। নতুন এটা যে কালকে খেলা আজকে দলের সঙ্গে যোগ দিলাম। এটাই ভিন্ন একটা ব্যাপার। অনেক বড় চ্যালেঞ্জও। এ ছাড়া বাকি সব ঠিক আছে।’
চট্টগ্রাম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাশার বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী (চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে থাকবে কিনা)। দেখুন, চ্যাম্পিয়নশিপ তো অনেক পরের কথা। অবশ্যই, আমাদের শুরুটা ভালো করতে পারলে আমার মনে হয় আমরা এখনো ভালো করতে পারি। হয়ত বিদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে একটু অনিশ্চয়তা আছে। কিন্তু স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে আমি যেটুকু দেখেছি তারা খুবই আত্মবিশ্বাসী, তারা ভালো করতে চায়। আমার মনে হয় এরকম টুর্নামেন্টে মানসিক দিক থেকে ভালো অবস্থায় থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।’
এবি/টিকে