দীর্ঘদিনের চোট–সংঘাতের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানলেন বার্সেলোনার সাবেক ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার রাফিনিয়া আলকান্তারা। ৩২ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ব্রাজিলের হয়ে ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী মাজিনিওর সন্তান রাফিনিয়ার ফুটবলজীবন শুরু থেকেই ছিল সম্ভাবনায় ভরপুর। তবে বারবারের গুরুতর চোট তার ক্যারিয়ারের ধারাবাহিকতাকে ভেঙে দিয়েছে। ভাই থিয়াগো আলকান্তারা যেমন বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও লিভারপুলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, রাফিনিয়ার ক্ষেত্রে তা আর হয়ে ওঠেনি।
২০১১ সালের নভেম্বরে বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক হয় রাফিনিয়ার। নয় বছরে কাতালান ক্লাবটির জার্সিতে তিনি মাঠে নামতে পেরেছেন মাত্র ৯০ ম্যাচে। বার্সেলোনা ‘বি’ দল ও ধারে সেলটা ভিগোতে খেলার সময় তার পারফরম্যান্স নজর কাড়ে তৎকালীন কোচ লুইস এনরিকের। এনরিকে মূল দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে নিয়মিত হতে শুরু করেন রাফিনিয়া।
২০১৪–১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ে তার অবদান ছিল। তবে সেই মৌসুমেই বড় ধাক্কা আসে—হাঁটুর মারাত্মক চোটে পড়ে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয় ১৮২ দিন। পরে ফিরেই পিএসজির বিপক্ষে ৬–১ গোলের স্মরণীয় জয়ে অংশ নেন তিনি।
২০১৮ সালে হাঁটুর আরেকটি গুরুতর চোটে বার্সেলোনায় রাফিনিয়ার অধ্যায় কার্যত শেষ হয়ে যায়। এরপর ধারে ইন্টার মিলান ও সেলটা ভিগোতে খেলেন। ২০২০ সালে স্থায়ীভাবে যোগ দেন পিএসজিতে, সেখানেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। পরে ধারে রিয়াল সোসিয়েদাদে খেলেন এবং কাতারের ক্লাব আল-আরাবিতে নাম লেখান। তবে চোট সেখানেও পিছু ছাড়েনি।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাফিনিয়া লিখেছেন, ‘এক বছরের বেশি সময় আগে হাঁটুতে চোট পাই, যা দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফিরে লড়াই করা থেকে বিরত রেখেছে। এটা মেনে নেওয়া কঠিন যে, আমি আর চালিয়ে যেতে পারব না। সব সময় পাশে থাকার জন্য আমার পরিবারকে ধন্যবাদ। সমর্থন ও ভালোবাসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। আমাকে গড়ে তোলার জন্য ফুটবলকে ধন্যবাদ—বিদায়।’
বার্সেলোনার হয়ে ছয় বছরের বেশি সময় আগে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন রাফিনিয়া। বিদায়ের মুহূর্তে তার অবদান স্মরণ করে শুভকামনা জানিয়েছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। বার্লিনে চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জয়ের সময় রাফিনিয়ার বয়স ছিল মাত্র ২২। তখনই ক্লাব ফুটবলের সম্ভাব্য সব শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি।
আইকে/টিএ