বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে খালেদ মাহমুদ সুজনের দল নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে হারিয়ে দিয়েছে শেখ মেহেদীর দল চট্টগ্রাম রয়েলস। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে এই মাঠেই ১৯১ রান তাড়া করে সিলেটকে হারায় রাজশাহী।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১০৯ রানেই থেমেছে নোয়াখালীর ইনিংস। ফলে ৬৫ রানের জয় নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল চট্টগ্রাম রয়েলস।
তবে বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না সাদাকাত ও হাবিবুর রহমান সোহানের। প্রথম দুই ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও তৃতীয় ওভারে সোহানকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের বলে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সোহান আউট হন ৭ বলে ১৫ রান করে।
পরের ওভারে ফেরেন সাব্বির হোসেনও। এরপরের ওভারে সৈকত আলীর উইকেট নেন তানভীর ইসলাম। এদিন দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠতে পারেননি জাকের আলীও। মেহেদীর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন ১২ বলে ৬ রান করে।
দ্রুতই চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে নোয়াখালী। দ্রুত রান তুলতে পারছিলেন না সাদাকাত-হায়দারও। তবে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও তানভিরের করা দুই ওভারে দ্রুত রান তুলতে চেষ্টা করেন তারা দুজন। আক্রমণাত্বক হয়ে ওঠার চেষ্টায় ২৮ বলে ৩৮ রান করে আউট হয়েছেন সাদাকাত। আবু হায়দার রনির বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলার চেষ্টায় তানভীরের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
পরের ওভারে তানভীরকে টানা দুই বলে দুই ছক্কা মারেন হায়দার। পরের বলেও ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। পরে সেই তানভীরের বলেই মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৪ বলে ২৮ রান করে। পরের বলে আউট হয়েছেন হাসান মাহমুদ। ১০০ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর কেউই সেভাবে কিছু করতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে অল আউট হয় নোয়াখালী। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম। সমান দুটি করে শরিফুল, মুকিদুল ও মাহেদি। একটি উইকেট গেছে আবু হায়দারের ঝুলিতে।
এর আগে, চট্টগ্রামের হয়ে মির্জা বেগ একাই বড় ইনিংস খেলেন। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করলেও ৬৯ বল খেলে ৭ চার ও ২ ছয়ে করেন ৮০ রান। হাসান মাহমুদের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
এদিন মোহাম্মদ নাঈম শেখ থামেন ১১ বলে ১১ রান করে। তারপর মাহফিজুল ইসলাম (১৬) ও মাহমুদুল হাসান জয় (১৭) রান করেন। সবশেষ অধিনায়ক মেহেদী হাসান ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেললেও দলীয় রান দাঁড়ায় ১৭৪, উইকেট ৬টি হারিয়ে। সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেছেন সাব্বির হোসেন। একটি করে শিকার হাসান, রানা, জহির ও মাজের।
আইকে/টিকে