খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক মো. মোতালেব শিকদারকে গুলিবর্ষণকারী শামীম সরদার ওরফে ডিকে শামীম ওরফে ঢাকাইয়া শামীমসহ আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬)-এর সদস্যরা। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার হলেন।
র্যাবের দাবি, চাহিদামতো মাদক সরবরাহ করতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম নিজ হাতে মোতালেব সরদারকে গুলি করেন। তন্বীর বাসায় নিয়মিত মাদকের কারবার হতো।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যাব-৬ খুলনার সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. নাজমুল ইসলাম এ দাবি করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর বসুপাড়া থেকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী শামীম সরদার ওরফে ডিকে শামীম ও তার সহযোগী মাহাদিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে ১০টি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে শামীমসহ ৪/৫ জন তন্বীর বাসায় যান।
সেখানে আগে থেকেই তন্বী, মোতালেব সিকদার, আরিফ, ইফতি, তন্বীর স্বামী তানভীর, তন্বীর বন্ধু ইমরান ও ইফতির চাচাতো ভাই উপস্থিত ছিল। সেখানে আগে থেকেই মাদক (ইয়াবা) সরবরাহ করা হতো। মোতালেব শামীমের চাহিদামতো ইয়াবা দিতে না পারায় সে নিজেই মোতালেব সিকদারকে সরাসরি মাথায় গুলি করে। ঘটনার পর তারা দ্রুত সেখান থেকে সরে যান।
মেজর নাজমুল ইসলাম বলেন, শামীম ওরফে ঢাকাইয়া শামীম সোনাডাঙ্গা এলাকার অন্যতম শীর্ষ একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে দস্যুতা, বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
সংঘটিত এ হত্যাচেষ্টাটি মূলত খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মাদক ব্যবসা ও মাদকের টাকা ভাগাভাগিকেন্দ্রিক। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তার ও মূল রহস্য উন্মোচনে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে আহত মোতালেবের স্ত্রী রহিমা আক্তার ফাহিমা জেলা জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম সদস্যসচিব আটক তনিমা ওরফে তন্বীর নামাল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনের নামে সোনাডাঙা মডেল থানায় মামলা করেন।
পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে জাতীয় যুবশক্তির জেলা যুগ্ম সদস্য সচিব তনিমা তন্বীকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবি/টিকে